ইরানে ইসরায়েলের ‘রাইজিং লায়ন’ অপারেশনের পর কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বৈজ্ঞানিক নিহত হয়েছেন।
এক ঊর্ধ্বতন ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ইরান চাইলে এই হামলা আরও জোরালো করতে পারে।’
তিনি আরও জানান, ‘যে দেশগুলো চাইবে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে, তাদের ঘাঁটিতেও হামলা হতে পারে।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আত্মরক্ষার অধিকার থাকার বিষয় ব্যক্ত করে ইরানি প্রতিনিধি। কারণ ১৩ জুন সকালে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থানে আঘাত করেছে এবং অনেক কমান্ডার ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে।
শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র অংশ হিসেবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তারা ইসরায়েলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হানে এবং দেশটির দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষাও অল্প সময়ের মধ্যেই ভেদ করে যায়।
ইরানি বিপ্লবী গার্ড কর্পস বলেছে, এ অভিযান সম্পূর্ণভাবে ইসলামী বিপ্লবের নেতা ও সেনাপ্রধানের নির্দেশ এবং জনগণের দাবিতে পরিচালিত হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যে প্রতিশোধ নেবে, তার ইঙ্গিত বহু আগেই মিলেছিল। ইরান জানিয়েছিল, তারা একসাথে ছয় শতাধিক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ তথ্য সামনে আসার পর থেকেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছিলেন, ইসরায়েল যদি উত্তেজনা বাড়ায়, তবে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।