কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের চার দিন পেরিয়ে গেলেও পরিবার ও সহপাঠীদের অপেক্ষার প্রহর এখনো শেষ হয়নি।
গত মঙ্গলবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নামেন অরিত্র হাসানসহ তিন শিক্ষার্থী। এ সময় হঠাৎ করে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে তারা তলিয়ে যান। ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয় কে এম সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ। পরদিন বুধবার ভেসে ওঠে আরেক শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ।
তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২২ বছর বয়সি অরিত্র হাসান। তিনি বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
নিহত ও নিখোঁজ তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সাগরের অতল জলে হারিয়ে যাওয়া এই তরুণদের নিয়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী মাহবুবুর রহমান জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সারা দিন মহেশখালী চ্যানেল, সোনাদিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্পিডবোট নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছে জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী ও লাইফগার্ড টিম। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র প্রচ- উত্তাল থাকায় উদ্ধারকাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার পরও আমরা থেমে নেই।’
উদ্ধার তৎপরতা চলমান থাকলেও এখনো মেলেনি অরিত্রের খোঁজ। এ ঘটনায় পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাজুড়ে চলছে মাতম।
আপনার মতামত লিখুন :