রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৯:২২ এএম

ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৯:২২ এএম

ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাতারের দোহায় আলোচনা চলছে। তবে এই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় আছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। শুক্রবার রাতে এই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা শুধু সময়ক্ষেপণ করেছেন। ইসরায়েল দোহায় নি¤œ সারির কর্মকর্তাদের আলোচনার জন্য পাঠিয়েছে, যাদের মূল বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। গাজা থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা বিতরণ বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে মূল আলোচনা চলছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন। এর আগে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু হামাস যদি ইসরায়েলের শর্ত অনুযায়ী স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়, তাহলে গাজায় আবারও হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এই দখলদার। কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। আল-জাজিরা জানায়, শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে গাজার রাফাহ শহরে ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলায় নিহত হয় ১১ জন। এ নিয়ে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা গোষ্ঠীর ত্রাণ নিতে গিয়ে গত ৬ সপ্তাহে অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ওএইচসিএইচআরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, গাজায় ৬১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন-জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে এবং ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজাকে শিশুদের কবরস্থান ও অনাহারে পরিণত করেছে। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে শনিবার (১২ জুলাই) ভোর থেকে কমপক্ষে ২৭ জন ত্রাণপ্রার্থীসহ ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে ফিলিস্তিনি ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের উত্তরে আল-শাকুশ ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে খাদ্য পাওয়ার আশায় সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় সপ্তাহে গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সম্পূর্ণ অবরোধের ১০৩ দিন পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, লজ্জাজনক আন্তর্জাতিক নীরবতার মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী সমস্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে এবং খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি প্রবেশে বাধা দিয়েছে। এটি আধুনিক সময়ের সম্মিলিত অবরোধের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর মধ্যে একটি। এতে বলা হয়, গত তিন দিনে আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠুর মানবিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহের অভাবের কারণে শত শত মৃত্যু রেকর্ড করেছি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে ৬৭ জন শিশু মারা গেছে এবং গাজার প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন মানুষ ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ সম্মুখীন হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩১ জন আহত হয়েছে। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৮২৩ জনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৭ জনে পৌঁছেছে। গাজায় একমুঠো খাবারের আশায় ত্রাণকেন্দ্রে ছুটে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা থামছে না। গত ছয় সপ্তাহে ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়া এমন অন্তত ৭৯৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিতর্কিত এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করে গত ২৬ মে। এর আগে টানা ১১ সপ্তাহ উপত্যকাটিতে ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল। জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্র এমন সব স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা মোতায়েন রয়েছেন। সংস্থাটির দেওয়া খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শুরু থেকেই জিএইচএফের ত্রাণ কার্যক্রমের সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৮ জনকে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬১৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে জিএইচএফের ত্রাণগুলোর আশপাশে। আর ১৮৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে ত্রাণ নিতে যাওয়ার পথে।’ ওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের হত্যার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, কবরস্থান, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, এনজিও, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!