বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৬:৪২ এএম

যুগ যুগের ভোগান্তি শেষ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের 

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৬:৪২ এএম

যুগ যুগের ভোগান্তি শেষ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের 

কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর প্রতীক্ষিত কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। গত বছরের ৭ অক্টোবর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে যুগ যুগের দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণকাজ শুরু করছে রেলওয়ে। ইতিমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রকল্প পরিচালকও। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী।

প্রকল্পের ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে বলে জানা গেছে।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০০ মিটার রেল কাম রোড ব্রিজ নির্মাণ, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ, ২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভায়াডাক্ট, ৪ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার বাঁধ, ১১ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কাজ। ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সত্বর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে

আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেও ভিত্তিপ্রস্তরে নাম থাকছে না ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। প্রধান উপদেষ্টার নিষেধ থাকায় ভিত্তিপ্রস্তরে তার নাম লেখেনি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাটে যে সেতুটি রয়েছে সেটি ১৯৩১ সালে নির্মাণ করেছিল ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মিয়ানমারের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০০৪ ও ২০১২, ২০২৩ এবং চলতি বছর সংস্কার করে রেলওয়ে। 

কালুরঘাট সেতু নিয়ে ভোগান্তি কমাতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী উৎফুল্ল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তে আনন্দমিছিল করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!