বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত ভেন্ডর তালিকার বাইরে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠান, এডুটেকস লিমিটেড এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ লিমিটেড বিপিএলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেয়েছে।
এডুটেকস লিমিটেড বিপিএলের থিম সং তৈরি এবং ডিজের কাজ পায়, আর ইন্টারঅ্যাকটিভ লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে।
অথচ বিসিবির টেন্ডার বিজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত (পরে একদিন বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর) নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেখানে ৬৯টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়।
যদিও কাজ দেওয়ার কথা ছিল কেবল তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে বাইরের দুটি কোম্পানিকে ‘মার্কার’ দিয়ে নির্ধারণ করে বিশেষ সুবিধা দিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
২১ নভেম্বর এডুটেকস ও ৮ ডিসেম্বর ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়ান ব্যাংকে প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য ১৫ হাজার টাকা জমা দেয়, যদিও এ সময়ে তারা তালিকায় ছিল না।
টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় যে তালিকা পেয়েছি, সেখানে এডুটেকস ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ছিল।’ তবে অন্যান্য কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো শুরুতে তালিকাভুক্ত ছিল না।
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসনিক বিভাগ তালিকা করে। আমাদের কাছে যেটা এসেছে, তাতে তারা তালিকাভুক্ত।’ তবে নির্ধারিত সময়সীমার পরে তারা কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হলো, সে বিষয়ে তিনি নিরুত্তর।
সাবেক টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ওই দুটি কোম্পানি আগে থেকেই বিসিবির সঙ্গে কাজ করত, তাই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলে জরুরি সভার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল, যা অনুসরণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে বিসিবির দুই পরিচালক জানান, তারা শুধু প্রেজেন্টেশনের সময় এই কোম্পানিগুলোর নাম শুনেছেন। কিভাবে তারা তালিকাভুক্ত হলো, তা জানা নেই।
বিসিবির গঠনতন্ত্রে সভাপতিকে জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তা কার্যকর করার জন্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে পর্ষদের অনুমোদন প্রয়োজন। বিপিএলের এই ভেন্ডর নির্বাচন ও কাজ বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় সেই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :