তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ’ ঠেকাতে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে পুলিশ ।
এর আগে বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ যাত্রা শুরু করেন তারা। এটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশের বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ে নানা স্লোগান দিতে শুরু করেন। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি রক্ত আরও দেব রক্ত ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যতক্ষণ তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তাদের আন্দোলন চলবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে জানান অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজন পুলিশও আহত হয়েছেন। আহত পুলিশের পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আবাসন সংকট সমাধানের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জবি শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) ইউজিসিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা ইউজিসির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
কিন্তু বৈঠকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জবি ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘বৈষম্যহীন দেশের জন্য আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে জুলাই বিপ্লব করেছি। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান। আমরা আজ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করা।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আপনার মতামত লিখুন :