বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০২:২৭ এএম

পথহীন সেতু!

দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০২:২৭ এএম

দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

  • ৬ কোটি টাকায় ৭২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ হলেও ব্যবহার অযোগ্য
  • সড়ক না হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না
  • অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি চরমে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া এলাকায় সোয়া ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি এখনো ব্যবহার উপযোগী হয়নি। চার বছর আগে সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় এ সেতু দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন আজও অপূর্ণ থেকে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনার ক্যানেল পার হয়ে বেলকুচি সদর ইউনিয়নের দেলুয়া, চর দেলুয়া, মধ্য দেলুয়া, রতনকান্দি, সোহাগপুর, বড়ধুলসহ ৮-১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্ষায় নৌকা, শুকনো মৌসুমে হেঁটে বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেই হয় তাদের। অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কৃষিপণ্য পরিবহনেও সময় ও টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।

২০২০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চরদেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বক্কার প্রামাণিকের বাড়ি পর্যন্ত এ সেতু নির্মাণ শুরু করে। ২০২১ সালের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ আটকে যায়।

স্থানীয় তাঁত শ্রমিক শাহীন আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেতু হয়েছে কিন্তু রাস্তা হয়নি। আমরা ট্যাক্স দিই, অথচ উন্নয়ন পাই না। এ সেতুর সঙ্গে দ্রুত রাস্তা করতে হবে।’

অন্যদিকে শিক্ষক আব্দুল আলীম জানান, ‘সেতুটি চালু হলে সময় বাঁচবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন হবে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এর সুফল ভোগ করবে।’

এলজিইডি বেলকুচি উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সেতুর মূল কাঠামো সম্পন্ন হলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে কাজ আটকে আছে। প্রক্রিয়া প্রায় শেষদিকে, অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলে ঠিকাদার অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ করবে।’

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, ‘ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য উন্মুক্ত হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!