আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন মাইফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলল টাইগাররা। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে তারা। ১৯ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ২০০তম ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ল তারা। এর আগে ১৯৯টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৭৯টি ম্যাচে। হেরেছে ১১৫টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টিতে ৮০তম জয় পেতে বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচগুলোতে দলের আগের কীর্তি। বাংলাদেশ তাদের শততম টি-টোয়েন্টি খেলেছিল ২০২১ সালের জুলাইয়ে। প্রথম ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশের লেগেছিল প্রায় ১৫ বছর। শততম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টিতে ‘সেঞ্চুরি’র মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটি বাংলাদেশ জেতে ৮ উইকেটে। হারারাতে সেদিন ৫০ রান করে এবং একটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। এর আগে শততম ওয়ানডেতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে অবিস্মরণীয় এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০০তম ওয়ানডেতেও জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচ-সেরা হন সাকিব আল হাসান। ৪৪৯ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ ৩০০তম ওয়ানডেতে হেরে গেলেও জিতেছিল ৪০০তম ওয়ানডেতে। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে শততম টেস্টেও। ২০১৭ সালে কলম্বোয় সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ১৯১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিতেছিল।
সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ২০০ টি-টোয়েন্টির ক্লাবে বাংলাদেশ দলই একটু দেরিতে ঢুকছে। এর আগে পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার ক্লাবে পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তান দল। ২৭৪ ম্যাচে দলটি জিতেছে ১৫৬টি ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি জিতেছে ভারত। ২৪৯ ম্যাচে ভারতের জয় ১৬৬ ম্যাচে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন