২০২৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ঝুঁকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নির্বাচন হলে রমজানের পর দুই পক্ষের আলাদা আলাদাভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে শুরায়ে নেজাম ও সাদপন্থিদের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের সমস্যা সমাধানে এ কমিটি কাজ করছে।
ইজতেমার তারিখ পরবর্তী সময়ে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই গ্রুপকে নিয়ে আসন্ন ইজতেমার বিষয়ে আলোচনা করেছি। খুবই পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। যেহেতু সামনে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন নিয়ে এখন ব্যস্ত, নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে। ইজতেমা করতে গেলে অনেক মানুষের সমাগম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত থাকার বিষয় আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইজতেমা হবে ইলেকশনের পর। নির্বাচনের পর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
খালিদ হোসেন বলেন, ইজতেমা যে নির্বাচনের পরে হবে, সেই বিষয়ে উভয়পক্ষ তিন উপদেষ্টার সামনে আমাদের কাছে সম্মতি দিয়েছেন। নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে হয়, এরপর রমজানে তো আর হচ্ছে না, হয়তো রমজানের পর (ইজতেমা) হবে।
দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা করবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, ইজতেমা একসঙ্গে হওয়ার সুযোগ নেই। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়িয়েছে যে, আলাদা আলাদাভাবেই হবে।
নির্বাচন যদি পিছিয়ে যায় তবে ইজতেমা কবে হবেÑ এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন তো আপাতত পেছানোর কোনো লক্ষণ নেই। নির্বাচন তো ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন পেছানোর এই মুহূর্তে কোনো পরিকল্পনা নেই। যদি এ রকম কোনো পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে আমরা আবার বসব, কথা বলব কী করা যায় তখন। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে, এভাবেই আমরা এগোচ্ছি।
ইজতেমা পেছানোর বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে এত বড় একটা সমাবেশ, যেখানে বিদেশি মেহমানরাও থাকেন। এই ঝুঁকিটা সরকারের জন্য নেওয়া উচিত হবে না মনে করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওনারাও সেটা বুঝতে পেরেছেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ মাওলানা সাদ কান্ধলভীপন্থি মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও জুবায়েরপন্থি মাওলানা মাহফুজুল হক, জুনায়েদ আল হাবিবসহ অন্যান্য মুরব্বিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন