সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপাদনে ফিরল চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০১:৪৪ এএম

উৎপাদনে ফিরল চিটাগং  ইউরিয়া ফার্টিলাইজার

*** গ্যাস সংকটের কারণে গত এপ্রিলে বন্ধ হয়ে যায় সার উৎপাদন
*** সাত মাস বন্ধ থাকার গত শনিবার থেকে উৎপাদন শুরু
*** দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) সাত মাস বন্ধ থাকার পর আবার ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উৎপাদন পুনরায় চালু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান।

জানা যায়, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ কোটি টাকার সার উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েকশ কোটি টাকায়। কারখানা বন্ধ থাকলেও ১ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি মাসে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

সিইউএফএলের এমডি মিজানুর রহমান জানান, ‘আমাদের প্রকৌশলীরা নিরলস পরিশ্রম করেছেন। গ্যাস সরবরাহ এখন স্থিতিশীল আছে। যদি এ সরবরাহ বজায় থাকে এবং যান্ত্রিক কোনো সমস্যা না দেখা দেয়, আমরা খুব দ্রুত পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরব।’

উল্লেখ্য, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) গত ১১ এপ্রিল হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে সিইউএফএলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অক্টোবরের শেষ দিকে ধীরে ধীরে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু হলে সপ্তাহখানেকের প্রস্তুতির পর শনিবার রাতে ইউরিয়া উৎপাদন পুনরায় চালু হয়।

কারখানা সচল রাখতে দৈনিক ৪৮-৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। তবে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত অর্থবছরে কারখানাটি মাত্র আড়াই লাখ টন সার উৎপাদন করতে সক্ষম হয় যেখানে পূর্ণ সক্ষমতায় বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৫ লাখ ৬০ হাজার টনেরও বেশি।

১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের প্রযুক্তি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় গড়ে ওঠে সিইউএফএল। ১৯৯১ সালে উৎপাদন শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান একসময় দেশের সার উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করত। বর্তমানে এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া এবং ৩ লাখ ১০ হাজার টন অ্যামোনিয়া।

তবে শ্রমিকরা বলছেন, ‘উৎপাদন চালু হলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। গ্যাস সরবরাহে স্থায়ী সমাধান না হলে আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে কারখানাটি।’ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘এই কারখানাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা চাই, সরকার স্থায়ী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করুক। নইলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই কারখানার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে।’ দেশে ইউরিয়া সারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। সিইউএফএলসহ বিসিআইসির অন্যান্য কারখানায় উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ টন, বাকি ১৬ লাখ টন আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এতে প্রতিবছর বৈদেশিক মুদ্রায় বিপুল চাপ পড়ে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, যদি গ্যাস সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা যায়, তাহলে সিইউএফএল পুনরায় তার পুরোনো জৌলুস ফিরে পাবে, কমবে আমদানি-নির্ভরতা, আর দেশের কৃষি খাতও পাবে নতুন গতি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!