রাশিয়া ও বেলারুশ একটি যৌথ ও ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে, যা ইউরোপজুড়ে বিশেষ করে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই মহড়ার সূচনা হলো এমন সময়, যখন পোল্যান্ড মস্কোর বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমায় আক্রমণাত্মক ড্রোন পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে।
‘জাপাদ ২০২৫’ নামের এই সামরিক মহড়া গতকাল শুক্রবার শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যেই রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় শহরগুলোর ওপর বিমান হামলা আরও তীব্র করছে।
তবে ক্রেমলিনের দাবি, মহড়াটি ড্রোন ঘটনার বহু আগেই পরিকল্পিত ছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, এই মহড়ার লক্ষ্য হলো কমান্ডার ও স্টাফদের দক্ষতা বৃদ্ধি, যৌথ বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় উন্নত করা এবং মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ জোরদার করা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, সীমান্তের কাছে এই মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়।
তবুও পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনা চরমে। পোল্যান্ড বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বেলারুশের সঙ্গে থাকা তাদের শেষ উন্মুক্ত সীমান্ত পারাপার পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দেয়। বেলারুশের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি ফুটেজে দেখা যায়, সীমান্তে কাঁটাতার বসানো হচ্ছে।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক পরিস্থিতিকে নির্ণায়ক সময় হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম সবচেয়ে বেশি একটি উন্মুক্ত সংঘাতের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।
পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সিন কিয়েরভিনস্কি জানান, সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তটি একটি খুব নির্দিষ্ট ও আক্রমণাত্মক সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া, যা বেলারুশে শুরু হচ্ছে এবং সরাসরি পোল্যান্ডকে লক্ষ্য করছে। আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন