ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

লেনদেন ভারসাম্যে উন্নতি হলেও ঝুঁকি বাড়ছে আমদানিতে  

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৫৬ এএম

রেমিট্যান্সের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার প্রভাবে বিদায়ি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিদেশি লেনদেনের ভারাসাম্য বা ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্টে’ (বিওপি) উন্নতি ঘটেছে। বিওপির যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে, তাতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে যাওয়ার তথ্যও রয়েছে। লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি এলেও আমদানি কমে যাওয়াকে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রবণতা হিসেবে দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদায়ি অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ছিল ২২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর তার আগের অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৪০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।

আর ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আমদানি হয় ৬৪ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছরে হয় ৬৩ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

বাণিজ্য ঘাটতির মতো ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-জুন সময়ে চলতি হিসাবেও ঘাটতি কমেছে। গত অর্থবছরে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার; আর আগের অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন।

কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। তবে ঘাটতি থাকলে তা মেটাতে ঋণ নিতে হয়। আর্থিক হিসাবও উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে পর্যন্ত আর্থিক হিসাব দাঁড়িয়েছে উদ্বৃত্ত ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

আর্থিক হিসাব করা হয় প্রবাসী আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তা, বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্টের পরিসংখ্যান যোগ-বিয়োগ করে।

অন্যদিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, আগের অর্থবছরে যা ছিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।