ঢাকার সাত কলেজ, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ভর্তি পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে সবসময়ই প্রতিযোগিতা বেশি থাকে। তবে এবার (ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়) হিসেবে প্রক্রিয়াধীন থাকায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাই প্রস্তুতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু মূল দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী জহির রহমানপরীক্ষার কাঠামো ও সিলেবাস প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার ধরন আলাদা। সাত কলেজে সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর এমসিকিউ প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাই ভর্তি পরীক্ষার আগেই ভর্তি পরীক্ষার কাঠামো ও সিলেবাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রথম ধাপেই পরীক্ষার সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন, মার্কিং পদ্ধতি ও সময়সীমা স্পষ্টভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
পরিকল্পিত পড়াশোনার কৌশল
বিষয়ভিত্তিক সময় বণ্টন: প্রতিদিন পড়াশোনায় বিষয়ভিত্তিক সময় বণ্টন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বিষয় পড়া ও নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করা বিকল্প নেই।
প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ: ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা অনেক সময় শুধুই বই পড়ে যাই। এমন হলে কাক্সিক্ষত ফলাফল নাও আসতে পারে। তাই অন্তত বিগত ৫ বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করে প্রবণতা বুঝতে হবে।
দুর্বল অংশ চিহ্নিতকরণ: পড়াশোনার ক্ষেত্রে দুর্বল অংশ চিহ্নিতকরণ জরুরি। যেসব অধ্যায়ে দুর্বল যেসব অধ্যায়ে নম্বর কম আসে, তাই সেগুলোতে অতিরিক্ত সময় দিতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা: পরীক্ষার হলে সময়ের কার্যকর ব্যবহারই সাফল্যের অন্যতম শর্ত। মক টেস্ট বা মডেল টেস্টের মাধ্যমে সময় বণ্টন অনুশীলন করা দরকার। উদাহরণস্বরূপ, ৬০ মিনিটের পরীক্ষায় ৫০টি প্রশ্ন থাকলে গড়ে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ মিনিটেরও কম সময় পাওয়া যায়; তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা জরুরি।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভর্তি প্রস্তুতিকে অনেক সহজ করেছে। অনলাইন মক টেস্ট, ভিডিও লেকচার ও অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও অনুশীলন উপকরণ পাওয়া যায়। তবে সামাজিক মাধ্যমে সময় অপচয় এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মানসিক প্রস্তুতি: পরীক্ষার চাপ কমাতে সুস্থ জীবনযাপন বজায় রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য ও নিয়মিত হালকা শারীরিক অনুশীলন মানসিক স্থিতি ধরে রাখতে সাহায্য করে। পরীক্ষার আগে হঠাৎ নতুন বিষয় মুখস্থ করার চেষ্টা না করে পুরোনো পড়া গুছিয়ে নেওয়া শ্রেয়।
পরীক্ষার আগে করণীয়:
অ্যাডমিট কার্ড ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা।
পরীক্ষাকেন্দ্রের অবস্থান ও রুট আগে থেকে নির্ধারণ করা।
পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো।
শেষ মুহূর্তের পরামর্শ
আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন ভালো প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় শক্তি এটি।
ছোটখাটো ভুলকে ভয় পাবেন না, বরং সমাধানের দিকে মনোযোগ দিন।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম বজায় রাখুন।
অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা না করে নিজের প্রস্তুতি অনুযায়ী এগিয়ে যান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন