উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক গবেষণা সুবিধা এবং বৈচিত্র্যময় আন্তর্জাতিক পরিবেশের কারণে যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের গন্তব্য। বিশ্বের ঞড়ঢ় ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪টিই যুক্তরাজ্যে, যেমন- ঙীভড়ৎফ, ঈধসনৎরফমব, ওসঢ়বৎরধষ ঈড়ষষবমব খড়হফড়হ, ও টহরাবৎংরঃু ঈড়ষষবমব খড়হফড়হ. বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্য শুধু শিক্ষার জায়গা নয়, এটি একটি ক্যারিয়ার ও স্থায়ী বসবাসেরও সম্ভাবনাময় দেশ।
কেন যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি, পড়াশোনার মেয়াদ তুলনামূলকভাবে কম, স্কলারশিপের প্রচুর সুযোগ, স্নাতকোত্তর শেষে ২ বছরের এৎধফঁধঃব জড়ঁঃব ঠরংধ।
পরিবার নিয়ে যাওয়া ও কাজের সুযোগ
পড়াশোনার ধরন ও জনপ্রিয় কোর্স
যুক্তরাজ্যে শিক্ষার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং কোর্সগুলো বাস্তবমুখী।
জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছেÑ
বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আইন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক হেলথ, মিডিয়া, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, এডুকেশন, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, ফাইন্যান্স ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।
আবেদন করার প্রক্রিয়া
শিক্ষার্থীরা সরাসরি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন, অথবা অনুমোদিত শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (যেমন এষড়নধষ অফসরংংরড়হ উবংশ)-এর মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদ, পাসপোর্ট কপি
স্টেটমেন্ট অব পারপাস (ঝঙচ), রেফারেন্স লেটারস ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ (ওঊখঞঝ/গবফরঁস ড়ভ ওহংঃৎঁপঃরড়হ).
স্কলারশিপের সুযোগ
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহৎ পরিমাণ স্কলারশিপ ঘোষণা করে থাকে। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, চেভেনিং স্কলারশিপ, গ্রেট স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি-স্পেসিফিক স্কলারশিপ ইত্যাদি। ভালো একাডেমিক ফলাফল ও শক্তিশালী আবেদন থাকলে ২৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি মওকুফ পাওয়া যায়।
খরচ ও জীবনযাত্রা
টিউশন ফি : বছরে ১১ হাজার-২০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১৫-২৫ লাখ টাকা)
থাকার খরচ : মাসে ৭০০-১,০০০ পাউন্ড (বাসস্থান, খাবার ও যাতায়াতসহ)
পার্ট-টাইম কাজ : সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৮০০-১,২০০ পাউন্ড পর্যন্ত আয় সম্ভব।
লেখক : সিইও, গ্লোবাল অ্যাডমিশন ডেস্ক

