ঢাকা বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতন ফেরত দিতে হবে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১০:২৩ এএম
প্রতীকী ছবি

জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি ও মাসের পর মাস এমপিও সুবিধা ভোগ করা এমন ৬০ শিক্ষককে শনাক্ত করেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জালিয়াতি করে তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। এমনকি শিক্ষক পরিচয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনেও দখলে নেন গুরুত্বপূর্ণ পদ।

ডিআইএর তদন্তে এসব জাল সনদধারী শিক্ষক ধরা পড়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এমপিও বাবদ এখন পর্যন্ত যে অর্থ তারা নিয়েছেন, তা ফেরত নেওয়ারও সুপারিশ করেছে অধিদপ্তর।

ডিআইএর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত এসব শিক্ষকের সনদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাচাই করা হয়। যাচাইয়ে সনদগুলো ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় অর্থ ফেরত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাদের সনদ জাল-যে পরিমাণ টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ

নেত্রকোনা সদর-কৃষ্ণ গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিষয়ের শিক্ষক কামরুন নাহার মিলকীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে নিশ্চিত করেছে এনটিআরসিএ। তার কাছ থেকে ১৭ লাখ ১০ হাজার ৯৮৫ টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

রাজবাড়ী-কালুখালী, সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কালামের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে বগুড়ার নেকটার। তার কাছ থেকে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৯৭০ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে।

জামালপুর-মাদারগঞ্জ, খাজা শাহসুফী ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজের সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের অন্যান্য সনদ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তার কাছ থেকে ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৩০৩ টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান-নেকটার।

ডিআইএ জানিয়েছে, জাল সনদধারীদের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন জালিয়াতি রোধে নজরদারি বাড়ানো হবে।