চলতি বছরের পাঁচ মাসে রেকর্ড সংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে কর্মসংস্থানে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। অভিবাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, অর্থনৈতিক ও যোগাযোগব্যবস্থায় এগিয়ে থাকা অঞ্চলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বেশি। এসব অঞ্চল থেকে শ্রমিক অভিবাসনের হারও তাই বেশি। এ ছাড়া যেসব জেলার লোকজন বিদেশে রয়েছেন, তাদের সূত্রেও অন্যরা যাচ্ছেন।
রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব অঞ্চলের কর্মীদের মধ্যে বিদেশে কর্মসংস্থানে আগ্রহ বেশি, সেসব অঞ্চল থেকে কর্মী যাওয়ার হারও বেশি।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, চলতি বছরের পাঁচ মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার ৭২১ জন কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার ৫৮১ জন কর্মী বিদেশে কাজ করতে গেছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৮ হাজার ৭৬৪ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৪৭১ জন, মার্চ মাসে ৯ হাজার ৬৪৮ জন, এপ্রিল মাসে ৪ হাজার ২২২ জন এবং মে মাসে ৯ হাজার ৪৭৬ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। বিএমইটির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুমিল্লা জেলার পর গত পাঁচ মাসে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এই জেলা থেকে ২৫ হাজার ৩৫৬ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। এই জেলা থেকে গত পাঁচ মাসে ১৮ হাজার ২৬৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।
বিএমইটির তথ্যমতে, চলতি বছরের পাঁচ মাসে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ১৭ হাজার ৯৭৯ জন, চাঁদপুর থেকে ১৬ হাজার ৫০৯ জন, চট্টগ্রাম জেলায় ১৫ হাজার ৩৮১ জন, ঢাকা জেলা থেকে ১৪ হাজার ৮৬৯ জন, নোয়াখালী থেকে ১৪ হাজার ৫৯৪ জন, নরসিংদি থেকে ১৩ হাজার ৬২৩ জন, ময়মনসিং থেকে ১৩ হাজার ৩৩৬ জন, ফরিদপুর থেকে ১১ হাজার ২৫৩ জন, মুন্সীগঞ্জ থেকে ১০ হাজার ১১৭ জন, সিলেট থেকে ১০ হাজার ১০০ জন, হবিগঞ্জ থেকে ৯ হাজার ৭৯৩ জন, ফেনী জেলা থেকে ৭ হাজার ৩৯৫ জন, মানিকগঞ্জ থেকে ৭ হাজার ৩৬০ জন, সুনামগঞ্জ থেকে ৭ হাজার ১৯১ জন, জামালপুর থেকে ৬ হাজার ৩৮০ জন, মাদারীপুর থেকে ৬ হাজার ৯৮৮ জন, মৌলভীবাজার থেকে ৬ হাজার ৩৬১ জন, বগুড়া থেকে ৬ হাজার ১২৩ জন, বরিশাল থেকে ৫ হাজার ৯৭৬ জন, শরীয়তপুর থেকে ৫ হাজার ৮৯৮ জন, পাবনা থেকে ৫ হাজার ৬১১ জন, রাজবাড়ী থেকে ৫ হাজার ৪৫০ জন, গোপালগঞ্জ খেকে ৫ হাজার ২৪৩ জন, কক্সবাজার থেকে ৫ হাজার ১৯১ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।