ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকা- গ্রেপ্তার আরও এক, ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মহিন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৩:২৪ এএম

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন। অন্যদিকে এ হত্যা মামলার অন্যতম আরেক আসামি নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। গত সোমবার রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভাঙারি ও পুরোনো তারের ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন মহিনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিনকে হেফাজতে পেতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে, আদালত পাঁচ দিনের মঞ্জুর করে।
আবেদনে বলা হয়, ‘এ আসামি মামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক বিবেচনায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। এ-সংক্রান্তে অনেক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে আরও অনেক অজ্ঞাতনামা আসামির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সোহাগ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও পর্যালোচনায় ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত এবং আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে আসামির পুনরায় ১০ রিমান্ডের প্রয়োজন।’

ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতায় বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় সোহাগকে। এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকা-ে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই সোহাগের পূর্বপরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের কোতোয়ালি থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী।

এ ঘটনায় তার বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যেখানে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে।

অন্যদিকে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘র‌্যাব-১১ নান্নুকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।’ জানা যায়, নান্নু পাথর দিয়ে আঘাত করে সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত করা চারজনের একজন।