মধ্যপ্রাচ্য সফররত অবস্থায় পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের’ হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে তেহরানকে ‘বিকল্প’ বেছে নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে ট্রাম্প বলেন, ইরানকে অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ অথবা মার্কিন ক্রোধ মোকাবেলা করতে হবে। তেহরানের কাছে দু’টি বিকল্পের যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘দেশটির নেতারা যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছায়াযুদ্ধ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের ওপর সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় থাকবে না। সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’ যদিও ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি ইরানের সঙ্গে চক্তি করতে আগ্রহী। পাশাপাশি দেশটির উন্নয়ন চান। অথচ এই মন্তব্যের আগে তিনি ইরানের শাসনব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন।
বলেন, দেশটির সরকার জনগণের সম্পদ চুরি করে বিদেশে সন্ত্রাস ও রক্তপাতে অর্থায়ন করছে। তারা শুধু নিজের জাতিরই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বড় ক্ষতি করছে। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন জানিয়ে ‘অগণিত প্রাণহানির’ জন্যও ইরানকে দায়ী করেছেন তিনি।
‘মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস’ খ্যাত বৈরুতের ধ্বংস হওয়ার জন্যও ইরানকে দায়ী করেন এই রিপাবলিকান নেতা। ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানি সরকার যদি এই অঞ্চলকে ভেঙে ফেলার পরিবর্তে নিজেদের জাতি গঠনের দিকে মনোনিবেশ করত। তাহলে আজ এখানে তাদের অতীতের অন্যায়ের নিন্দার পরিবর্তে আরও উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব দিতাম। এবং সেই অফার দিতেই এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, ইরানের ক্ষেত্রে আমি কখনো স্থায়ী শত্রু থাকাতে বিশ্বাস করি না। কারণ শত্রুরা অনুপ্রাণিত করে। আসলে, আমেরিকার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলো এমন দেশ, যাদের বিরুদ্ধে আমরা বহু প্রজন্ম ধরে যুদ্ধ করেছি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনাকে তেহরানের প্রতি ট্রাম্পের নেতিবাচক মন্তব্য কীভাবে এবং কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তা স্পষ্ট নয়।