ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

যুবদল-ছাত্রদলের নেতাসহ ১০ জনের কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিল পুলিশ

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
আটক যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছবি- সংগৃহীত

চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ নেতাকে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। 

নগরের পোড়াবাড়ী মাষ্টারবাড়ী এলাকায় একটি সমবায় সমিতর ব্যবস্থাপকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেয় তারা।

রোববার (১১ মে) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, গাজীপুর মহনগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ও সদর উপজেলার ভাওয়াল গাজীপুর গ্রামের বোরহান উদ্দিন (২৮), মহানগর যুবদলের আহবায়ক সদস্য ও  দক্ষিন সালনা এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন (৪০) মহানগর যুবদলের সদস্য বাওরাইদ এলাকার মকবুল হোসেন (৪৩)।

ভোলা সদরের ইলিসা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর (৪০), দক্ষিন সালনা এলাকার কবির হোসেন (৩২), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেওলি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৬), ঢাকার রূপনগর এলাকার মহিউদ্দিন (৩০), রংপুরের কোতয়ালি থানার শাহিন ভূইয়া (৩৭), ভোলার বাগার হাওলা গ্রামের পলাশ হাওলাদার (৩১) ও নীলফামারির সৈয়দপুর থানার খিয়ারপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৪২)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর নগরের পোড়াবাড়ী মাষ্টারবাড়ী হংকং ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে সৃজনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের সমিতির অফিস রয়েছে। ওই সমিতির শাখা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা’র কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। 

ওই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে যৌথবাহিনী ও গাজীপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পোড়াবাড়ী র‌্যাব ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় থেকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তন্তর করা হয়।

গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ওই এনজিও এর মালিকের কাছে ঢাকার বিএনপির এক নেতার আত্মীয় টাকা পাবেন।

কিন্তু এনজিও মালিক টাকা দিতে টালবাহানা করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে রোববার পোড়াবাড়ী এলাকায় একটি অফিসে সমঝোতার বৈঠক চলছিল। ওই এনজিও মালিক সেনাবাহিনীকে কল করে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। তাদের কাছে কেউ চাঁদা দাবি করতে যায়নি।’

মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. রোহানুজ্জামান বলেন, ‘একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তারা কেউ চাঁদাবাজি করতে যাননি। এনজিও প্রতিষ্ঠানে টাকা পাওনার বিষয় নিয়ে সমঝোতা করতে গিয়েছিলেন।’ 

গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১০ জন আটক হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।