কুমিল্লার মুরাদনগরের সেই নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচরে ওই নারীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কায়কোবাদ বলেন, আমি যেমন মুরাদনগরের সন্তান, আপনারাও এ মাটিরই সন্তান। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে হেনস্তা করার সুযোগ নেই। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নয়, আমরা সবাই একে অপরের ভাই।
তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় প্রকৃত আসামি আওয়ামী লীগের কর্মী হলেও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং আওয়ামী লীগ ও এনসিপির নেতারা পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপিকে হেয় করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারাই এখন এনসিপির ব্যানারে পুনর্বাসিত হয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মুরাদনগরের ওসি ও কুমিল্লার এসপি তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।
বিএনপি নেতা কায়কোবাদ বলেন, যেদিন থেকে কুমিল্লার এসপি বদলি হয়ে এসেছেন, সেদিন থেকেই বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রশ্নে কায়কোবাদ বলেন, এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায় আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে তারাই মানববন্ধন করেছিল। আজও আমি আপনাদের পাশে আছি।
বিদায়বেলায় তিনি ২৬ জুন ঘটে যাওয়া ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান এবং বলেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়। নারীদের সম্মান করা আমাদের সবার কর্তব্য।