মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া মোবাইল ব্যবসায়ী আবু সাঈদ পিয়াসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর মুঠোফোনে রূপালী বাংলাদেশকে বিষয়টি তিনি নিজেই জানান।
তাকে আটকের ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য দেশের গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। পাশাপাশি মোবাইল বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সকল সদস্যের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক বাস্তবায়িত হতে যাওয়া ‘ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। তবে তার আগে মঙ্গলবার গভীর রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১ এর বাসা থেকে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে আটক করে ডিবি।
এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড্ডা নতুন বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে। আটকের পর দুজনকেই মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিক মিজান সোহেলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ছাড়া হচ্ছিল না আবু সাঈদ পিয়াসকে। এর প্রতিবাদে দুপুর থেকেই ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে তারা দেশজুড়ে মোবাইল বিক্রি বন্ধেরও ঘোষণা দেন। এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয় পিয়াসকে।
ডিবি কার্যালয় থেকে মুক্ত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রূপালী বাংলাদেশকে আবু সাঈদ পিয়াস বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের বক্তব্যটুকু দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই সিন্ডিকেট এত ভয় পেয়েছে যে, সংবাদ সম্মেলন যেন আয়োজিত হতে না পারে, সেজন্যই আমাদেরকে আটক করা হয়েছিল। তবে আমাদের সংগঠনের সাহসী ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেছে। এ যেন গত বছরের আরেক জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেখানে সেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল।’
আপনাদের আগামী কর্মসূচি কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে পিয়াস বলেন, ‘আমি প্রথমেই কারওয়ান বাজারে আমার ব্যবসায়ী সহকর্মীদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। এটা সবার রুজি রুটির বিষয়। সবার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই সবাই আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’

