দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় এর ওপর নির্ভর করে কাজ, বিনোদন, লেনদেনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। তবে দামি বা কমদামি- যে কোনো ফোন সঠিক পরিচর্যার অভাবে দ্রুত ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে আপনার স্মার্টফোন ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন: ফোনে ইনস্টল করা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্টোরেজ দখল করে রাখে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে চলতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ব্যাটারি ও প্রসেসর। নিয়মিত এসব অ্যাপ ডিলিট বা নিষ্ক্রিয় করলে ফোন দ্রুতগতিতে কাজ করে।
স্টোরেজ ফাঁকা রাখুন: স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে ফোন ধীরে কাজ করতে শুরু করে। অপ্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও, অডিও ও ডকুমেন্ট মুছে ফেলুন। প্রয়োজন হলে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ফ্যাক্টরি রিসেট বিবেচনা করুন।
নিয়মিত অ্যাপ আপডেট করুন: নতুন ভার্সনগুলোতে সাধারণত পারফরম্যান্স ও নিরাপত্তা উন্নত করা হয়। তাই স্বয়ংক্রিয় আপডেট অপশন চালু রাখুন এবং নিয়মিত অ্যাপ আপডেট করুন।
সুরক্ষিত কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করুন: দুর্ঘটনাবশত পড়ে যাওয়া বা পানি লাগায় ফোনের হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে। ভালো মানের কভার ও স্ক্রিন প্রটেক্টর ফোনকে ধাক্কা, ধুলো ও আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষা দেয়।
চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার পরিষ্কার রাখুন: পোর্ট বা স্পিকারে ধুলো জমলে চার্জিং সমস্যা ও সাউন্ড কোয়ালিটি খারাপ হতে পারে। নরম ব্রাশ দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। তবে ধারালো কিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত গরম বা পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন: ফোন অতিরিক্ত গরম হলে পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। তাই রোদে বা গরম পরিবেশে দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। ফোন পানিরোধী না হলে আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন।
ব্যাটারির সঠিক যত্ন নিন: ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জের মধ্যে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বারবার ১০০ শতাংশ চার্জ দেওয়া এবং অপ্রয়োজনে ফাস্ট চার্জিং ব্যবহার করা ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে।


