ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

সাক্ষাৎকারে ডিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট

‘পাঁচ বছরের নিশ্চয়তা পেলে ব্যবসার পরিবেশ ফিরবে’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
মো. শাখাওয়াত হোসেন মামুন

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা, ব্যাবসায়িক অনিশ্চয়তা এবং নীতিগত জটিলতা নিয়ে খোলামেলা মতামত দিয়েছেন ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) সভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন মামুন। তার মতে, দেশের আয়কর ও শুল্ক কাঠামো এখনো পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব হয়ে ওঠেনি; বরং যারা নিয়ম মেনে কর দিতে চান, তারাই সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন। ব্যবসা সহজীকরণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও টার্নওভার ট্যাক্স ব্যবসার ওপর ‘একটি স্থায়ী ঝুলুম’ হয়ে আছে, যা উদ্যোক্তাদের মানসিক ও আর্থিক চাপ আরও বাড়ায়। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধির মূল শর্ত হলো হয়রানিমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু সুদের উচ্চহার, ডলার সংকট এবং এলসি খোলায় দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা ব্যবসার গতি কমিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ও শিল্প খাত প্রতিযোগিতার জায়গায় পিছিয়ে পড়ছে। তার মতে, বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে, আর আরেকটি গ্রুপ ফুলে ফেঁপে উঠছে, যা বাজারের স্বাভাবিক ভারসাম্য ও উদ্যোক্তা পরিবেশের জন্য ভালো সংকেত নয়। আর্থিক খাতের নানা প্রেক্ষাপট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন মো. শাখাওয়াত হোসেন মামুন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন রূপালী বাংলাদেশের বিজনেস এডিটর রহিম শেখ।

প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? 
উত্তর: বর্তমানে ব্যবসার পরিবেশ একটু খারাপই বলব। ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে। মোটাদাগে ক্রেতারা কেনাকাটা অনেকাংশেই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। আপনি জানবেন, দুই শতাধিক গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা আসলে আমাদের ভোক্তা। এতে একটা ভোক্তা শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সরকার একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, একই সঙ্গে নির্বাচনি অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছে। এতে করে মানুষ তার সঞ্চয় ভাঙতে চাচ্ছেন না। মানুষ তার খুব বেশি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া কেনাকাটা করছেন না। অবস্থা এমন হয়েছে বিলাসবহুল পণ্যবাজার যেমন স্থবির, ঠিক তেমনি বিস্কুট কিংবা রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও স্থবির। সব মিলিয়ে বলব ব্যবসার পরিবেশ এই মুহূর্তে বেশি ভালো নেই। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে সরকারই আসুক, পাঁচ বছরের একটি নিশ্চয়তা পেলে ব্যবসার পরিবেশ আবার ভালো অবস্থানে ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি। 

প্রশ্ন: ব্যবসায়ীদের জন্য বর্তমান আয়কর ও শুল্ক কাঠামো কতটা সহায়ক?
উত্তর: আমাদের দেশের আয়কর বা শুল্ক কাঠামো পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব নয়। এটা নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আসছি। যারা সঠিকভাবে আয়কর দিতে চায় তারাই ঝামেলায় পড়ে। আর বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তারা কীভাবে যেন মুক্তি পেয়ে যায়। আপনি জানবেন, আমাদের টার্নওভার ট্যাক্স বলে একটা কথা আছে, ব্যবসার মুনাফা হোক বা লোকসান হোক, যেখানে লেনদেন করলে ১ শতাংশ কর দিতে হবে। এটা একটা ব্যবসার ওপর ঝুলুম ছাড়া আর কিছু না। আপনার ব্যবসায় মুনাফা এবং লোকসান দুটোই হতে পারে। কিন্তু আপনি লোকসান করলে করটা কীভাবে দেবেন? আপনার পুঁজি চলে যাচ্ছে। আবার আপনাকে করও দিতে হচ্ছে। ১ কোটি টাকা লেনদেন করলে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিয়ে দিতে হবে। এটা আসলে কোনো যুক্তিতে আসে না। পুরোপুরি আমরা এই টার্নওভার ট্যাক্সের বিপক্ষে। আপনি দেখেন, বলা হয় আয় করলে ট্যাক্স দেবেন, অথচ আয় না করলে ট্যাক্স দেবেন কোথা থেকে। এখন আপনি বলতে পারেন, আমাদের লোকসান করেও ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আর যারা দিচ্ছে না তো দিচ্ছেই না। যারা নিয়মমাফিক কোম্পানি চালাচ্ছে, তারাই বিপদে পড়ছে। শুল্ক ব্যবস্থাও অনেকটা সে রকমই। আপনি দেখেন, মোবাইল ফোনের একটা উদাহরণ দিই। মোবাইল ফোন আমদানিতে সব মিলিয়ে শুল্ক-ট্যাক্স ৫৭ শতাংশ। এটা কল্পনা করা যায় যে ১ লাখ টাকার একটা ফোন কিনতে হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দিয়ে। এত উচ্চশুল্ক কেন হবে। এ জন্যই তো অবৈধ পন্থায় মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে। ভারতে যেমন ১৫-১৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মোবাইল ফোন আমদানি করা হচ্ছে আর আমাদের এখানে ৫৭ শতাংশ। একটা ভোগপণ্যের উদাহরণ দিই। যেমন- এলাচ। এলাচের ওপর শুল্ক ৬০ শতাংশ। এটা নাকি বিলাসবহুল পণ্য! এলাচ কোন বাসায় নাই বলেন? আসলে এই শুল্ককাঠামো ভোক্তার জন্য যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি ব্যবসায়ীর জন্যও ক্ষতিকর। যখন কর বা শুল্ক চাপ বেড়ে যায়, তখন ভোক্তার ওপরে গিয়ে পড়ে। এগুলো আসলে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত। আয়কর ও শুল্ক কাঠামো পরিবর্তনের সময়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের রাখা হয় না। এ জন্য সরকার যখন খুশি তখন আয়কর বা শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। 

প্রশ্ন: করব্যবস্থাকে আরও বিনিয়োগবান্ধব করতে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ প্রস্তাব করবেন?
উত্তর: করব্যবস্থাকে আরও বিনিয়োগবান্ধব করতে হলে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। শুধু ব্যবসায়ী না, শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু আইএমএফের মতামত নিলে হবে না। সবার মতামতের ভিত্তিতে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিলেই করব্যবস্থাকে আরও বিনিয়োগবান্ধব করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। 

প্রশ্ন: বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ট্যাক্স ইনসেন্টিভ বা সহজ নীতিমালা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?
উত্তর: বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ইনসেন্টিভ আসলে বড় বিষয় না। অনেক দেশেই এই ইনসেন্টিভ দেয় না। তবে বিনিয়োগের জন্য সবার আগে অবকাঠামো, সুরক্ষা এবং নিশ্চয়তা যেমন গ্যাস-বিদ্যুৎ- এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আপনি দেশের কারখানাগুলোতেই গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে আশা করেন? সরকার কোনো আলোচনা ছাড়াই গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল তিন গুণ বাড়িয়ে ফেলে। একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী যখন শুনবে এই অবস্থা, তখন সে কোনো দিনও ব্যবসা করতে এখানে আসবে না। কথা নাই বার্তা নাই ১০ টাকার গ্যাসের বিল ৩০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। আপনি যখন বিনিয়োগ করবেন তখন তো আপনি একটা হিসাব করে আসবেন। কারখানা তৈরির পর আপনি দেখছেন গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল দুই গুণ-তিন গুণ বেড়ে গেছে। অবকাঠামোর ঠিক নাই, আপনার খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ, জীবনের নিরাপত্তা নাইÑ তাহলে তো বিনিয়োগ আসবে না। আমার মতে, ট্যাক্স ইনসেন্টিভ আসলে এতটা গুরুত্বপূর্ণ না। বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালোই দিচ্ছে, তা-ও বিদেশি বিনিয়োগকারী আসছে না। ইপিজেডে তো কোনো ট্যাক্সই দেওয়া লাগছে না। সঙ্গে আরও ভর্তুকিও পাচ্ছে। তা-ও বিনিয়োগকারী আসছে না কেন? বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা দিতে হবে। তাদের মুনাফা নিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আপনাকে একটা ব্যবসা করার জন্য ৪০টা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করতে হবে যেমন- একটা ঢাকায়, একটা কুমিল্লা কিংবা চট্টগ্রামে যেতে হবে। এভাবে হয়রানি করা হলে কখনোই বিনিয়োগকারী আসবে না। আপনাকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি সেবায় আন-অফিসিয়াল কোনো খরচ রাখা যাবে না এবং সব কিছুই অনলাইনবান্ধব করতে হবে। আপনার সামনে মডেল আছে দুবাই। আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। আপনার আইনজীবী সব কিছু করবে। সেখানে মাত্র ২-৩ দিনে বিনিয়োগের সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়।

প্রশ্ন: সুদের হার, ডলার সংকট ও এলসি খোলায় জটিলতা- এই বিষয়গুলো বাণিজ্যে কী প্রভাব ফেলছে?
উত্তর: সুদের হার, ডলার সংকট ও এলসি খোলায় জটিলতা- এগুলো আসলে আমাদের প্রতিদিনকার সমস্যা। সুদের হার তো যে জায়গায় গেছে তাতে ব্যবসা করার তো কোনো পরিবেশ নেই। এই সুদ দিয়ে কোনোভাবেই কোনো ব্যবসা লাভের মুখ দেখবে না। ব্যবসা দিন দিন লোকসানে থাকবে এবং একসময় দেউলিয়া হয়ে যাবে। ১৬-১৮ শতাংশ সুদ দিয়ে কোন ব্যবসায় আপনি লাভ করবেন? এই উচ্চসুদে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে। সুদ অবশ্যই এক অঙ্কের ঘরে আনতে হবে। এর বাইরে কোনো কথা বলার সুযোগ নাই। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ডলার সংকট আমরা মোকাবিলা করছি। ২০২৪ সালে তো ছিল ভয়াবহ অবস্থা। এই ডলার সংকট আমাদের অনেক ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী, যারা ব্যাংকের মালিক বা মালিকদের সম্পর্কিত তারা এলসি খুলতে পারছে, কেউ কেউ পারছে না। সমস্যা হলো- যারা এলসি খুলতে পারছে, তারা মনোপলি করছে। ডলার সংকট এখনো আছে। ১২৩-১২৫ টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হচ্ছে। এই সংকটের একটা বাস্তবতা হলো নিম্ন ও মধ্য শ্রেণির ব্যবসায়ীরা একেবারেই পথে বসে গেছেন। যারা ব্যাংকের মালিক বা মালিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত, উচ্চ স্তরের, তাদের অনেকেই খুব ভালোভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। সহজ করে বললে, একটা ব্যবসায়ী গ্রুপ শেষ হয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে আরেকটা ব্যবসায়ী গ্রুপ ফুলে ফেঁপে উঠছে। 

প্রশ্ন: কৃষিপণ্য রপ্তানিতে মাননিয়ন্ত্রণ ও সার্টিফিকেশন ইস্যুতে কী ধরনের সহযোগিতা দরকার?
উত্তর: সার্টিফিকেশন ইস্যু একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কৃষিপণ্য আমি নিজেই রপ্তানি করি। তবে দুঃখজনকভাবে আমাদের সার্টিফিকেশনগুলো আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না বা মানে না। আমি মনে করি, শুধু কৃষিপণ্য না যেকোনো পণ্যেরই সার্টিফিকেশন, যেটা বাংলাদেশ সরকারের কোনো মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর দেবে, সেটার তথ্য যাতে সকল জায়গায় গ্রহণযোগ্য হয়, সেই ব্যবস্থা সরকারকেই নিতে হবে। এটা আমি পারব না। এটা করতে সরকার কেন পারছে না, তা সরকারকেই বলতে হবে। আমি তো সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে সার্টিফিকেশন নিয়েছি, তাহলে এটা কেন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তারা বলছে, পুনরায় তাদের দেশ থেকে আবার সার্টিফিকেশন নিতে হবে। তাহলে সরকারের উচিত বিদেশি কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া, যাদের মাধ্যমে আমরা মান নিয়ন্ত্রণ করে সার্টিফিকেশন নেব এবং যেটা সকল জায়গায় গ্রহণযোগ্য হয়। 

প্রশ্ন: ডাচ্ প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি খাত কীভাবে আরও আধুনিক হতে পারে?
আপনি জানবেন যে, ডাচরা কিন্তু কৃষিতে অনেক উন্নত। নেদারল্যান্ডসকে বলা হয় ইউরোপের ফুড বাস্কেট। আমাদের চেয়ে তিন গুণ পণ্য উৎপাদন করে ডাচ্‌রা। অথচ তাদের শ্রমশক্তি আমাদের চেয়ে কম। তারা পণ্য উৎপাদন করে যন্ত্র বা প্রযুক্তির মাধ্যমে। তারা সেচব্যবস্থায় বিশ্বে নাম্বার ওয়ান। তাদের গ্রিন হাউস অটোমেশন আছে। আমরা দেশে যেভাবে জমিতে সার দিই, তাতে ৪০ শতাংশ সার নষ্ট হয় বা পানির সঙ্গে মিশে যায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডস ড্রেন করে অথবা মাটির নিচে সার পুঁতে দেয়। এতে সারের ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয়। আমাদের দেশের স্টোরেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। আমরা সংরক্ষণের অভাবে মৌসুমে বিভিন্ন সবজি ফেলে দিই। অন্য সময়ে যে সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। আমাদের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত চেইন স্টোরেজ ব্যবস্থা তৈরিতে। এই প্রযুক্তি সহায়তা আমরা নেদারল্যান্ডস থেকে নিতে পারি। এতে ৪-৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য নষ্ট থেকে বেঁচে যাবে বলে আমি মনে করি।