ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

সিলেটের কৈলাশটিলায় নতুন স্তরে গ্যাসের সন্ধান

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
সিলেটের ঐতিহাসিক কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র।

সিলেটের ঐতিহাসিক কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপে প্রায় ছয় বছর পর নতুন একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। নতুন স্তর থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে অন্তত ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কূপটিতে আনুমানিক মজুদ রয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ঘনফুট।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে কূপটির চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) কর্মকর্তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামও প্রাথমিকভাবে গ্যাস প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই কূপটি ১৯৬১ সালে খনন করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি স্তর থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হয়। এরপর কূপটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ছয় বছর পর পঞ্চম স্তরে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদের ইঙ্গিত পাওয়ায় চলতি বছরের জুলাই মাসে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্কওভার প্রকল্প হাতে নেয় এসজিএফএল। অবশেষে সেই প্রকল্প সফলতা পেয়েছে।

এসজিএফএল কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তিগত কোনো জটিলতা না থাকলে নতুন স্তর থেকে কমপক্ষে ৮ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। এলএনজি আমদানির বর্তমান মূল্য হিসাব করলে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। ফলে মাত্র ৭৩ দিনেই প্রকল্প ব্যয়ের সমপরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন এ সাফল্য দেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কূপের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে খুব শিগগিরই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে।