ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫

১৬ দেশের জন্য ওয়ার্ক পারমিট নীতি শিথিল ডেনমার্কের, বাংলাদেশের খবর কী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
ডেনমার্কের পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ডেনমার্ক সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ১৬ দেশের জন্য ওয়ার্ক পারমিট নীতিমালা শিথিল করেছে। নতুন নীতির আওতায় এসব দেশের যেকোনো নাগরিক ড্যানিশ কোম্পানিতে বছরে ন্যূনতম তিন লাখ ড্যানিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনের চাকরির অফার থাকলে সহজেই ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবেন।

সোমবার (৩০ জুন) দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রী অ্যানে হ্যালসবয় ইয়োনসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি ড্যানিশ শ্রমবাজারে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে।’

এর আগে ডেনমার্কে কাজের ভিসা পেতে বছরে অন্তত পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ড্যানিশ ক্রোনা আয়ের চাকরি পেতে হতো। নতুন নিয়মে বেতনের শর্ত উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি কর্মী ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় আসার সুযোগ পাবেন।

তবে বাংলাদেশিদের জন্য নেই ‘সুখবর’। এই নীতির আওতায় আসছেন না বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। 

তবে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন, জাপান, ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর তালিকায় রয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই কেন? বিশ্লেষকরা বলছেন, মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর প্রতি ডেনমার্কের বর্তমান সরকারের কিছুটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বাংলাদেশের নাম তালিকায় আসেনি। যদিও এ নিয়ে এখনো ড্যানিশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ১৬টি দেশ হলো— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, ভারত, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, ইউক্রেন, মলদোভা, আলবেনিয়া, সার্বিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া ও মন্টেনিগ্রো।

এ বিষয়ে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের মিনিস্টার মুহাম্মদ সাকিব সাদাকাত গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য আসেনি।

ডেনমার্কের অর্থমন্ত্রী স্টেফানি লোজ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যদি দেশটির শ্রমবাজারে মন্দা দেখা দেয় এবং বেকারত্ব বাড়ে, তাহলে এই নীতিমালা স্থগিত করা হতে পারে। কারণ দেশটির নিজস্ব নাগরিকদের মধ্যেও কর্মক্ষম একটি বড় জনগোষ্ঠী এখনো চাকরির অপেক্ষায় আছে।

বর্তমানে ডেনমার্কে প্রায় চার লাখের বেশি বিদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সে সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে ড্যানিশ সরকার।