ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫

ইসরায়েলে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ব্যবহার করার পর, ইসরায়েলকে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোমা নির্দেশিকা কিট ও সহায়তা সামগ্রী বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৩০ জুন) মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানায়, এসব সামগ্রী বিক্রি ইসরায়েলকে তার সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনবহুল এলাকাগুলো রক্ষায় আরও শক্তিশালী করবে।

ডিএসসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই অস্ত্র সহায়তা ইসরায়েলকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবেলায় সাহায্য করবে।’

তারা আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয় এবং ইসরায়েল যাতে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত ও শক্তিশালী থাকে, সেটি নিশ্চিত করাই মার্কিন স্বার্থের অংশ। এসব সামগ্রী বিক্রির প্রস্তাবটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদন পেয়েছে এবং এখন এটি চূড়ান্তভাবে পাশ করানোর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ডিএসসিএ জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুটি ধরনের বোমার জন্য মোট ৭ হাজার ১২৫টি ‘জেডিএএম’ গাইডেন্স কিট কেনার অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে  ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বিএলইউ-১০৯ বাঙ্কার ধ্বংসকারী বোমার জন্য ৩ হাজার ৮৪৫টি কিট এবং ৫০০ পাউন্ড ওজনের এমকে-৮২ জেনারেল পারপাস বোমার জন্য ৩ হাজার ২৮০টি জেডিএএম কিট।

এই কিটগুলো বোয়িং কোম্পানি তৈরি করে এবং এগুলোর মাধ্যমে সাধারণ বোমাগুলোকেও সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য নির্দেশিত বোমায় পরিণত করা যায়। এই অস্ত্র ক্রয়ের অনুরোধ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন মাত্র কিছুদিন আগেই ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের বিমান অভিযান চালায়।

গত ১৩ জুন শুরু হওয়া অভিযানে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিজ্ঞানী এবং শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করে, এসব স্থাপনা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও ইরান বলছে, তাদের কর্মসূচি শুধুই শান্তিপূর্ণ।

এই ১২ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৪ হাজার ৩০০টি অস্ত্র ব্যবহার করে ৯০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, যার মধ্যে ছিল ১ হাজার ৫০০টি পৃথক উপাদান।

হামলার বেশিরভাগ অংশ পরিচালনা করে ৩৭০টি যুদ্ধবিমান, আর বাকিগুলো ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হয়। পশ্চিম ইরান থেকে তেহরান এবং তার আশপাশ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী আকাশে ব্যাপক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।