ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

জামালপুর-১ আসনে নতুন চমক

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৯:০০ এএম
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ তালুকদার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চমকের সৃষ্টি করেছেন চারবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার। তাঁর স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

দলীয় অঙ্গনে অনেকে দাবি করছেন, সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সঙ্গে আবদুর রউফ তালুকদারের আত্মীয়তার ‘মামা-ভাগনে’ সম্পর্ক রয়েছে।

আবার মিল্লাতপন্থী অংশ বলছে, এটি কেবল ‘পাতানো মামা’ সংক্রান্ত গুঞ্জন। এসব নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, আবদুর রউফ তালুকদার দীর্ঘদিন বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

গত ১৯ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ পৌরশহরে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরই সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। পারাই মহল্লা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে; সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও স্বাগত শোভাযাত্রা বের করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পর থেকে এ আসনের রাজনৈতিক সমীকরণেও নতুন আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ভোটাররাও নির্বাচনের সম্ভাব্য চিত্র নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছেন।

আসন্ন নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নাজমুল হক সাঈদী, এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী মোসাদ্দেকুর রহমান মানিক এবং গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী সাহারিয়ার আহামেদ (সুমন) এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘জনগণ আমাকে চারবার ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব দিয়েছেন। উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবামুখী কাজে আমি সবসময় জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য এবারও জনগণের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আগামী দিনগুলোতেও সবার পাশে থাকতে চাই।’

সমর্থকদের ভাষ্য, তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসেবায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। তিনি সংসদ সদস্য হলে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে তারা মনে করেন।

এদিকে তাঁর প্রার্থী হওয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তাঁর স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ এ আসনের ভোটের সমীকরণে পরিবর্তন আনতে পারে।