ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর এক প্রতীকী দিন, যে দিনটি সম্মান, সাহস, ত্যাগ ও দেশরক্ষার অঙ্গীকারকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযান মুক্তিযুদ্ধকে বিজয়ের আরও কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। এরপর থেকেই দিনটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।

আজ ভোরে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এতে দেশের কল্যাণ, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিন বাহিনীর বীর সৈন্যরা শুরু করেন সম্মিলিত আক্রমণ। নৌবাহিনীর দুঃসাহসিক ‘অপারেশন জ্যাকপট’, বিমানবাহিনীর আকাশপথে হামলা ও সেনাবাহিনীর সম্মুখযুদ্ধ সব মিলেই বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়।

 

বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা নয়; সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা মিশন, নির্বাচন নিরাপত্তা ও যে কোনো জাতীয় সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাহিনী আজ আরও পেশাদার ও দক্ষ। নারী সদস্যরাও এখন নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকে শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করছেন।

বিশ্বের কঠিনতম শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতেও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা দীর্ঘদিন ধরেই অসাধারণ অবদান রেখে আসছে, যা বাংলাদেশকে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে রেখেছে।

সাহস, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব এই তিন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। তাই ২১ নভেম্বর শুধু অতীতের গৌরব মনে করিয়ে দেয় না; ভবিষ্যতেরও নতুন অঙ্গীকার বয়ে আনে।