ঢাকায় চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। গতকাল টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দল ৩-২ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন সাগরিকা, সিনহা জাহান শিখা ও তৃষ্ণা রাণী। টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অর্জন সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান। গতকাল অপর ম্যাচে ভুটান ৫-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে।
নারী ফুটবলের চলমান টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে খেলছে বাংলাদেশ। তবে এ লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার পথে স্বাগতিকদের সামনে বড় বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হয় নেপালকে। আর এই নেপালকে হারিয়েই টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলার শুরু থেকেই নেপালের বিপক্ষে আগ্রাসী ফুটবল খেলে স্বাগতিকেরা। ১৩ মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। বাম দিক থেকে আক্রমণে যায় তারা। সাগরিকার ক্রস থেকে বল পেয়ে মুনকি আক্তার নেপালের কয়েকজনকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে শট নেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় গোল লাইনের কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলে তার কাছ থেকে বল পেয়ে যান শিখা। নিখুঁত শটে গোল করেন এই ফুটবলার। বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে নেপালের মেয়েরা। কিন্তু তাদের কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি। উল্টো প্রথমার্ধে আরও একটি গোল পায় বাংলাদেশ। এবার গোল করেন গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক উপহার দেওয়া সাগরিকা। বাম দিক থেকে আক্রমণে যান শান্তি মার্ডি। তার ক্রস থেকে বক্সে বল পেয়ে শিখা গোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার নেওয়া শটে বল গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। পাশে থাকা সাগরিকা গোল করতে ভুল করেননি। ৩৬ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা উজ্জীবিত বাংলাদেশের জালে বিরতির আগে আর বল জড়াতে পারেনি নেপালের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে দুই দলের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল পায় নেপাল। বক্সের মধ্যে নেপালের মিনা দেওবা বল নিয়ে আক্রমণে যান। বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বপ্নাকে পরাস্ত করলে পেছন থেকে এসে জয়নব বিবি নেপালের মিনাকে ফাউল করেন। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আনিশা রায়ের গোলে স্কোর লাইন ২-১ করে নেপাল। ৮৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে আরও একটি গোল পায় দল। ধারণা করা হচ্ছিল, ২-২ ব্যবধানেই ম্যাচটি শেষ হবে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে উমেলার পাস থেকে বল পেয়ে তৃষ্ণা রাণী গোল করে বাংলাদেশকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :