ঢাকা শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভোটের মাঠে জোটের হিসাবে কাটাকুটি

রুবেল রহমান ও এফ এ শাহেদ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:১৮ এএম
নির্বাচন
  • বিএনপির জোটে থাকতে পারে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি ও ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো
  • জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরে কয়েকটি ইসলামি দল নিয়ে হতে পারে নতুন জোট
  • দুই জোটের বাইরে থাকা দলগুলো নিয়ে তৃতীয় জোট করতে পারে এনসিপি
  • জাতীয় পার্টির কাঁধে ভর করে ফিরতে পারে আওয়ামী লীগ, এমন শঙ্কা সবার মনে
  • রাজনীতির মাঠে সাফল্যের আশায় হিসাব করেই চাল চালছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি
  • নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটের মাঠে জোটের হিসাব ততই তীব্র হচ্ছে 

নির্বাচনি আকাশে রং বদলাচ্ছে ঘন ঘন। কখনো রোদ কখনো আবার মেঘ। বলা চলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনো। তবে এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট ও ভোটের নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। নির্বাচনি পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক যেমন আছে, তেমনই বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কৌশলও প্রভাবিত করছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখি মনোভাবে সুযোগ খুঁজছে জাতীয় পার্টি। তার কিছু নতুন ইঙ্গিত এরইমধ্যে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও জাপার ঘাড়ে ভর করে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হতে পারে এমন শঙ্কাও রয়েছে রাজনীতিতে।

যদিও সম্প্রতি জাতীয় পার্টির সরব ভূমিকায় সহিংতা ছড়িয়েছে রাজনীতির মাঠে। যার বলি হয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। এদিকে ধীর চলো নীতিতে নীরবে এগোচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বলা চলে, রাজনীতির মাঠে সাফল্যের আশায় নিজেদের অন্দরমহলে হিসাব করেই দাবার চাল চালছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি।  

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনই এখন রাজনীতির মাঠ ও মাঠের বাইরে আলোচনার বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা এখনো বড় প্রশ্ন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের হিসাব মেলাতে লাগবে নানা সমীকরণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই সনদে ঐকমত্য, সব দলের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ ও ফল প্রকাশÑ এসব সমীকরণ মিললেই কেবল নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও দুয়েকটা সরকার গঠিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দৃঢ়তা নেই। লোভের কারণে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পথে। 

এরই মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমরা একটা জোট করছি, যেখানে বিএনপি থাকবে না’। যদিও তার আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘বিএনপির জোটে থাকছে না জামায়াত’। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পুরোনো মিত্র জামায়াত এক ছাতার নিচে থাকছে না সেটি বেশ স্পষ্ট। তবে এটিকে রাজনীতির সাধারণ নিয়ম বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, এখন কে সরকারে যাবে আর কে বিরোধী দলে থাকবে তা নির্ধারণের সময়। তবে যারা রাজনীতি করে সবারই লক্ষ্য সরকার গঠন করা। 

রাজনীতির মাঠে এরই মধ্যে দৃশ্যমান দুটি জোট। বিএনপির সঙ্গে আছে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি ও ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো। আর জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরে কয়েকটি ইসলামি দল নিয়ে হতে পারে আরেকটি জোট। যদিও কিছু ইসলামিক দল বিএনপিকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের ঢাকা-১৩ ছেড়ে দেওয়ার খবর প্রচার আছে। আর কিছু আসন ছাড় দিয়ে জোটে ভেড়াতে ইসলামিক দলগুলোর প্রতি নজর আছে বিএনপির। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই জোটের বাইরে থাকা দলগুলো নিয়ে তৃতীয় জোট করতে পারে এনসিপি। 

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের সঙ্গী হবেন, তার আভাস মিলেছে। সপ্তাহখানেক আগে দুই ধাপে ৪২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। যেখানে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর পাশাপাশি জোটবদ্ধ নির্বাচন ও পরবর্তীতে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন, সরকার গঠন সবকিছুতেই কথা হয়েছে। দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী যারা আছেন, তাদের নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে তারেক রহমান আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই।’ 

এর মধ্যে ছয়টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চও রয়েছে বিএনপির জোটে। আর আগে থেকে ১২ দলীয় জোট তো আছেই। যারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে অংশ নেওয়ার কথা। ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে অতীতে আন্দোলনে যেমন ছিলাম, এই নির্বাচনেও আমরা একসঙ্গে থাকব। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। কত সিট আমাদের ছাড়া হবে সেসব নিয়ে এখনো খোলামেলা আলাপ হয়নি।’

যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই বলেছেন, সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে চান তিনি। জুলাই সনদের বিষয়ে যদি ঐকমত্য আসে, বিশেষ করে নির্বাচনসহ প্রধান বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে যদি ঐকমত্য হয়, তাহলে নির্বাচন সহজতর হবে এবং শর্ত ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসতে পারবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে খুবই কম নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম এবং ২০০৮ সালের নবমÑ এই চার নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল। রাজনীতির মাঠে নানা কথা থাকলেও এসব নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন নেই। তবে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের বর্জন করা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ, বিএনপি ও তার মিত্রদের বর্জন করা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচন দেশ-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এসব নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতিও ছিল নামমাত্র।

এদিকে নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টিবিরোধী শক্তি হিসেবে সামনে আসার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ফলে, ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামের বৃহৎ ঐক্য এখনো নিশ্চিত না হওয়ায় দলটির রাজনৈতিক চাপে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি কোন দলের সঙ্গে জোট করবে তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটের মাঠে জোটের হিসাব ততই তীব্রতর হচ্ছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। শুধু ইসি বা সরকার আন্তরিক হলেই হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও বিশেষভাবে সহযোগিতা করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা বিএনপি ও তার মিত্র রাজনৈতিক দল ছাড়াও; জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সর্বচ্চো চেষ্টা করবে। সুযোগ পেলেই নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে তারা। সেক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা খুব সহজে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আওয়ামী লীগ আর ফিরে আসতে পারবে না। দেশের মানুষ ফিরতে দেবে না। কারণ তারা দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম খুন হামলা মামলা তো কম করেনি। গত বছর বাচ্চাদের বুকে গুলি করতে তাদের হাত, বুক কিছুই কাঁপেনি। তবে হ্যাঁ, তারা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করবে এটা খুব স্বাভাবিক। তবে আপাতত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কারণ তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে সরকার।’

বিএনপির রাজনৈতিক জোট কাদের সঙ্গে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাদের সঙ্গে জোট হবে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। অনেকের  সঙ্গেই কথা হয়েছে। সময় বলে দেবে কাদের নিয়ে জোট হবে, তবে জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছে তাদের নিয়েই নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছে আছে বিএনপির।’

এদিকে ইসলামী দলগুলো নিয়ে বৃহৎ ঐক্যের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঐক্য গড়তে নানা প্রক্রিয়া থাকে সেগুলো চলছে, খুব দ্রুতই একটা প্রক্রিয়ার দিকে যাব ইনশাল্লাহ। ঐক্য-মেরূকরণের এখনই সময়; ডিসেম্বরে যদি তপশিল ঘোষণা হয়, তার আগেই ঐক্যেও চূড়ান্ত রূপ দেখা যাবে।  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশকে বিবেচনায় আদর্শিক দ্বন্দ্ব ভুলে বৃহত্তর স্বার্থে এক হওয়ার জন্য ঐক্যের প্রক্রিয়া চলমান।’

আওয়ামী লীগের ফিরে আসা এবং চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল সুতরাং তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এটা স্বাভাবিক। তবে, ফিরে এসে রাজনীতির মাঠে তাদের আবার জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা এখন দেখি না।  তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য এক বছরেও ক্ষমা চায়নি। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বা জনগণ আবার তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারে এমন কোনো বক্তব্য তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আসেনি। তবে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের সুযোগ খুঁজবে তারা, এ বিষয়ে সরকার এবং প্রশাসনকে সচেতন থাকতে হবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের একটা সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনও একটি নিদিষ্ট সীমারেখা জানিয়েছে। নির্বাচনের অংশীজনেরা সবাই অংশ নেবে এমনটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। 

তিনি আরও বলেন, এনসিপি ও জামায়াত নানা শর্ত দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানাচ্ছে। এ বিষয়গুলো মীমাংসা করা প্রয়োজন। জুলাই সনদসহ যে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো নিয়ে সহাবস্থানে থেকে নির্বাচন ইস্যুতে সবার মধ্যে ঐকমত্য হওয়া উচিত। পরিস্থিতি বিবেচনায় যৌক্তিক শর্ত ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসা উচিত বলে মনে করি।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি নাÑ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তেমন সংশয় দেখি না। জামায়াত বা এনসিপি যে কথাগুলো বলেছেÑ এটা রাজনৈতিক একধরনের চাপ। যেহেতু তারা জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছে; তাই তারা বিএনপিকে চাপ প্রয়োগ করতেই এ ধরনের কথা বলছে। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় আছে বলে মনে করি না।