ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বললেন আইজিপি

পূজামন্ডপে ভাঙচুরের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০১:২৮ এএম

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পর্বে পূজাম-পে নাশকতা বা ভাঙচুরের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, পূজার প্রস্তুতি পর্বে কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এসব খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, মামলা হচ্ছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাবাজারে পূজাম-প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে কেউ গিয়ে মূর্তির হাত কিংবা মাথা নষ্ট করছে। আমরা খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যাড্রেস করছি। কোথাও বিচ্যুতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পূজা ঘিরে এখন পর্যন্ত বড় কোনো আশঙ্কা নেই। তবে তুচ্ছ কারণে ছোটখাটো ঘটনা ঘটছে। এসবকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ পূজা উপলক্ষে নাশকতা করতে পারে কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে ভীতও নই। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠক করেছেন।’

আইজিপি আরও বলেন, ‘গতকাল ঢাকা শহরে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি বড়সড় শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেছিল। আমরা আইনানুগভাবে তাদের দমন করেছি।’ আসন্ন পূজা ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের থ্রেট ফিল করছি না। কিন্তু আপনারা জানেন, ছোটখাটো ঘটনা সারা দেশেই ঘটে থাকে। এবার আমাদের কাছে মনে হচ্ছে অনেকগুলো ঘটনাই ঘটছে তুচ্ছ কারণে। বিশেষ করে এই প্রস্তুতি পর্বে অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছেÑ কেউ গিয়ে (প্রতিমার) হাত নষ্ট করে দিচ্ছে, মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এগুলোর খবর পাচ্ছি। পাওয়ামাত্রই সাথে সাথে আমরা সেটা সমাধান করতে যাচ্ছি। কোনোভাবেই কোনো কিছু আমরা অবজ্ঞা বা অবহেলা করছি না। বিচ্যুতি যদি কোথাও দেখি, তাহলে অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা মামলাও নিয়ে নিচ্ছি।’

পুলিশ কাজ করতে গিয়ে কোথাও বাধা পাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ কাজ করতে গিয়ে কোথাও বাধা পাচ্ছে না। একটা বিপ্লবোত্তর পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক কিছু বিচার-বিবেচনা করে চলতে হয়। আমরা একটা আইডিয়াল পরিস্থিতিতে যেভাবে আইন প্রয়োগ করি, সেটা সব সময় সম্ভব হয় না। আমাদের সমাজের সব মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করে তারপর আইন প্রয়োগ করতে হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্যটাই থাকে যেন আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি।’