পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেশটির পার্লামেন্টে খসড়া আইন অনুমোদন দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায়।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে গত বুধবার ২৫-২৪ ভোটে বিলটি অনুমোদন পায়। এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পশ্চিম তীরের দখলকৃত ভূখ-ের ওপর তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইসরায়েলি নেসেটের সম্প্রতি অনুমোদিত খসড়া আইনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের সনদ এবং প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা, বিশেষ করে প্রস্তাবনা ২৩৩৪-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে তার বেআইনি দখলদারি অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ পুনরায় নিশ্চিত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত কোনো ফিলিস্তিনি ভূখ-ের ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
এতে বলা হয়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কর্তৃক ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জারীকৃত উপদেষ্টা মতামতকে স্বাগত জানাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতার ওপর জোর দেয়, যার মধ্যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে রাখার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি তার অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
