এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল। ২০০৯ সালে রিয়্যালিটি শো সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সংগীতজগতে পা রাখা এই গায়িকা, তার মিষ্টি কণ্ঠ ও আবেগময় গায়কীর জন্য বেশ পরিচিত। এই সুকণ্ঠী গায়িকার গাওয়া ‘ও প্রিয়তমা’, ‘মেঘের নৌকা’সহ অসংখ্য গান শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। কোনাল তার সংগীতজীবন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
নিয়মিত গান-বাজনা, বিভিন্ন প্রোগ্রাম; রেকর্ডিং, মঞ্চে গান গাওয়া এবং সংসার এগুলো নিয়েই ব্যস্ততা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছি। সামনে আরও কিছু গানে কণ্ঠ দেব। গান নিয়েই আমার ব্যস্ততা।
কীভাবে সংগীতে আগ্রহী হলেন?
আমার মায়ের কারণে সংগীতে আসা। মা গান করতেন, তার ক্যাসেটও ছিল। মায়ের কাছে গানের হাতেখড়ি এবং মাকে দেখে দেখে গান গাওয়ার ইচ্ছা হয়। আমার বাবা খুব উৎসাহ দিত। বলা চলে, বাবা খুব ভালো একজন শ্রোতা ও উৎসাহদাতা।
একদিনে একাধিক গানে কণ্ঠ দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?
আমি যদি একটা গানেও কণ্ঠ দেই বা যতগুলো গানে কণ্ঠ দেই না কেন, আমার প্রস্তুতি সবসময় একই থাকে। গানের প্রস্তাব পেলে শুরুতে বাসায় অনুশীলন করি। আগে সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কিংবা পুরো টিমের সঙ্গে অনুশীলন হতো। তবে তা এখন আর হয় না। তাই গানটা পেলে বাসাতেই অনুশীলন করি। তাই গান চারটি হোক বা একটি হোক প্রস্তুতি সবসময় একই থাকে।
এ সময়ের শিল্পীদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো কী?
আমাদের প্রজন্মের শিল্পীরা, যেমন আমি শ্রদ্ধেয় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের রেকর্ডিং পেয়েছি, শ্রদ্ধেয় আলাউদ্দিন আলীর সুরে কয়েকটি গান গাইতে পেরেছি। এ রকম আমাদের যারা কিংবদন্তি ছিলেন তাদের সুরে অন্তত গাইতে পেরেছি, কিন্তু আমাদের পরের প্রজন্ম তারা তো আমাদের গুরুজনদের পাচ্ছেন না, তাদের সান্নিধ্য পাচ্ছেন না। নতুন প্রজন্ম অনেক কিংবদন্তিদের পাচ্ছেন না, এখন তো সেভাবে কেউ নেই। নতুন প্রজন্ম বা এই প্রজন্ম কাদেরকে পাচ্ছে? অনেকে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। একজন কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করাটা শুধু কাজ না, সেটা একেকটা শিক্ষা ছিল।
নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
আমি গানের মানুষ। সবসময় গানের মাঝেই থাকতে চাই। আমি চাই বাংলাদেশে আমার সংগীত হোক এমন এক আরোগ্যের কেন্দ্র, যেখানে মানুষ মনের শান্তি ও প্রশান্তি খুঁজে পাবে। এমন একটা একাডেমি হবে যেখানে বাচ্চারা সংগীত শিখবে বিকাশের জন্য এবং সবাই আসবে সংগীত উপভোগ করতে, সংগীত দ্বারা সুস্থ হতে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান দেখতে চাই। সেটার লক্ষ্যে আমি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
নাটক-সিনেমায় গান করছেন। কোন মাধ্যমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
মাধ্যম যাই হোক না কেন আমার প্রস্তুতি সবসময় একই থাকে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই গাই, সেটা যেই মাধ্যমেই হোক, এটা আমার কাছে আলাদা বা ভিন্ন মনে হয় না। আমি সব মাধ্যমেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
আগামীতে আপনার কী কী গান আসছে?
সামনে বেশকিছু গান আসছে। নাটক, সিনেমা এবং একক সংগীত আসছে। সময়মতো দর্শকরা নিশ্চয়ই সব দেখতে পাবে।

