বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১২:১৭ এএম

বললেন নাহিদ ইসলাম

সনদ বাস্তবায়নের সাংবিধানিক আদেশ পেলেই স্বাক্ষর

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১২:১৭ এএম

সনদ বাস্তবায়নের সাংবিধানিক আদেশ পেলেই  স্বাক্ষর

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সাংবিধানিক আদেশ বা নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কেবলই আনুষ্ঠানিকতা, কেবলই একটি কাগজে সাইন। এ কারণেই তারা সনদ অনুষ্ঠানে স্বাক্ষর করেননি। তারা সংস্কার চান এবং স্বাক্ষরের জন্যই অপেক্ষা করছেন। ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হলে তারা স্বাক্ষর করবেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। দলের দেশব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি রাজশাহী সফরে যান। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ত্রিদলীয় জোটের রূপরেখার মতো জনগণকে প্রতারণা করা হোক, তা তারা চান না। নব্বইয়ের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না।

নির্বাচনি প্রতীক প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের একটি স্বেচ্ছাচারিতা। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই যদি একটি মনোবাসনা চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এমন ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। আইনি ও সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হলে অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে যদি প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে রাজপথেই নামব। আমরা চাই না রাজপথে নামতে। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এগোতে চাই। আমাদের নির্বাচনি কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের নির্বাচনি কার্যক্রম থেমে নেই। প্রার্থী বাছাই চলছে এবং খুব দ্রুতই প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আগামীর সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। ছাত্র, তরুণ, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, প্রবাসী, নারীসহ সমাজের সব গ্রহণযোগ্য মানুষকে আমরা তুলে আনতে চাই।’

কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘যদি জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক জায়গা।’ তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে বা ইতিহাসের দায়ভার যাদের ওপর রয়েছে, তেমন কোনো শক্তির সঙ্গে জোটে যাওয়ার আগে তাদের অনেকবার ভাবতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। তবে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সমালোচনা ওঠায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল করা যেতে পারে।

নির্বাচনের আগে বিচারের একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গুম-খুনের ঘটনায় হওয়া মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে আসতে হবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী দলগুলোর সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা ফ্যাসিবাদী কর্মকা-কে বৈধতা দিয়েছে, তাদেরও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা উচিত।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগামীর লড়াইয়ে জামায়াত ও বিএনপি এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। বিগত সময়ে বিএনপি কখনো তাদের জায়গা থেকে এককভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে, সরকারি দল হিসেবে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। আবার জামায়াত সংসদে কখনোই বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেনি। সেই জায়গায় আগামীর বাংলাদেশে সংসদে স্থিতিশীলতা এবং সব ধরনের অপশক্তির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এনসিপি এবং নতুন প্রজন্মের একটা বড় প্রতিনিধি আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানবিরোধী যারা শক্তি ছিল; আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরা। এই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে যে রাজনৈতিক শক্তিগুলো আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম। আমরা মনে করি এসব রাজনৈতিক শক্তির একটা শক্তিশালী অংশগ্রহণ আগামীর সংসদে প্রয়োজন। আগামীর সংসদে যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করে এবং পরিচালনা করে, আমরা মনে করি সেই সরকার বা সংসদ বেশি দিন টিকবে না। সেই জায়গা থেকে এনসিপি মনে করে, তাদের শক্তিশালী যে ভিত্তি, যেটি সাংগঠনিক ভিত্তি, সেটি সবার আগে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় গিয়ে জুলাই পদযাত্রা করেছি। বর্তমানে প্রতিটি জেলা ও মহানগরসহ ইউনিটগুলোতে আহ্বায়ক কমিটি করার লক্ষ্যে আমরা জেলার সমন্বয় সভা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যারা পদপ্রত্যাশী, আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে পুঙ্খানুপুঙ্খ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের আহ্বায়ক কমিটিগুলো দেব। আমরা মনে করি, আগামীর বাংলাদেশের জন্য হোক, জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য হোক, জুলাইয়ের প্রতিটি চাওয়াকে বাস্তবায়ন করার জন্য হোক, এনসিপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের একটি হিসেবে এনসিপি অংশগ্রহণ করতে চায়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব সংসদে করতে চায়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!