জামায়াতের শর্ত ও দাবি নিশ্চিত না করলে  নির্বাচন হবে না

নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী যে শর্ত ও দাবিগুলো দিয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত না করলে দেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মন্তব্য করেন। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, নির্বাচনের জন্য যে শর্ত এবং দাবিগুলো আমরা দিয়েছি, সেগুলো নিশ্চিত করেই নির্বাচনে যেতে হবে সরকারকে। তাহলে আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারিÑ নির্বাচন হবে। অন্যথায় নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, জনগণ চাইলে পিআর পদ্ধতিতে সরকারকে যেতেই হবে। সময়ই উত্তর দেবে। এর জন্য আমরা জনমত গঠন করব। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা অন্যান্য দাবির সঙ্গে একটা কথা জোরালোভাবে বলছিÑ সবার সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেটা এখনো অনুপস্থিত আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। আমাদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছিলÑ ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে নির্বাচনের টাইমলাইন দিতে পারেন। তো আমরা এখানে সরকারকে বাধ্য করি নাই। চলতি বছরের ডিসেম্বরেও যদি নির্বাচন হয়, তাতেও জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি নেই। সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন যে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনছে, সেখান থেকে আমরা নির্দিষ্ট কিছু আসনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি। শুনানির সময় আমরা তা বলব।

পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) না হলে জামায়াত নির্বচনে যাবে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেয়ার ইলেকশনের ব্যাপারে অলওয়েজ আমরা সিনসিয়ার ছিলাম। এই পদ্ধতিটাও আমরা সিনসিয়ারলি মনে করি যে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে, একটা বেস্ট পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা গ্রহণযোগ্য সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেই হিসাবে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে মাঠে-ময়দানে জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমরা জনমত গঠনের কাজ করছি।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, নায়েবে আমির ঢাকা মহানগর উত্তর ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান মূসাসহ মোট পাঁচজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।