শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৮:৫১ এএম

শিল্পকলার প্রতি অশ্রদ্ধা

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৮:৫১ এএম

শিল্পকলার প্রতি অশ্রদ্ধা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাহসের জ্বালানির জোগান দিয়েছিল কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবীন পূর্ণির গান। ‘চলো ভুলে যাই’ শিরোনামে মেধা শহিদদের নিয়ে দশ মিনিটে লেখা গানটি বিশ্বের আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে পড়তেও লেগেছিল অল্প সময়। পারশার কথা ও সুরে লেগে থাকা হাহাকার অশ্রু ঝরিয়েছিল দেশবাসীর।

শুধু সংগীতশিল্পী হিসেবে নয়, অভিনেত্রী হিসেবেও সুনাম রয়েছে পারশার। এর আগে দর্শকের ঘুম কেড়েছিলেন জাহিদ প্রীতমের ‘ঘুমপরী’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে। এতে ঊষা চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।

এবার তিনি হাজির হয়েছেন একগুচ্ছ কদম নিয়ে। ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র ‘একগুচ্ছ কদম’-এ অভিনয় করেছেন পারশা। ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।

রাসেল মাহমুদের গল্পে ৫ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে দুই শিল্পীর মুখে কোনো সংলাপ নেই, আছে শুধু ঝুমবৃষ্টির শব্দ আর খুদেবার্তায় আলাপ। শেষ মুহূর্তে গিয়ে একগুচ্ছ কদমের মাধ্যমে কাছাকাছি দুজন। দর্শকের মন ভরিয়েছে ‘একগুচ্ছ কদম’। এটি নির্মাণ করেছেন জাহিদ প্রীতম।

সম্প্রতি পূর্ণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে সংগীত নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ‘যদি উদ্দেশ্য হয় সস্তা নেগেটিভ মার্কেটিং তবে বলার কিছু নেই।’

তার কথায়, ক্লাসিকাল সংগীতকে ‘বোরিং’ বলে উপস্থাপন করা মানে শত শত বছরের সাধনা, ঐতিহ্য ও শিল্পকীর্তিকে উপহাস করা। সেতারকে গিটার বানানো, তবলাকে নাচের উপকরণে নামিয়ে আনা, এসব দৃশ্য কেবল অশালীনই নয়, বরং এক ধরনের সাংস্কৃতিক অবমাননা। এটি শিল্পকলার প্রতি অশ্রদ্ধা, আর শিল্পীর সাধনার প্রতি তাচ্ছিল্যের প্রকাশ। প্রতিটি সংগীতধারা তার নিজস্ব ব্যঞ্জনা ও মহিমায় অনন্য। ক্লাসিকাল তার গভীরতা ও শুদ্ধতায়, রক বা পপ তাদের শক্তি ও আবেগে।

পারশা লিখেছেন, একটিকে হেয় করে অন্যটিকে ‘কুল’ বানানোর প্রয়াস কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়, বরং মার্কেটিং কৌশলের নামে চিন্তার দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করা। যদি উদ্দেশ্য হয় সস্তা নেগেটিভ মার্কেটিং, তবে বলার কিছু নেই।

শেষে বলেন, কিন্তু যদি সত্যিই তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করাই লক্ষ্য হয়, তবে এটি এক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। কারণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পকে পদদলিত করে কোনো ব্র্যান্ড দীর্ঘমেয়াদে সম্মান অর্জন করতে পারে না বরং কেবল ঘৃণা ও উপহাস কুড়ায়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!