ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া  সেই বিচারকের পদত্যাগ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৫:৪৪ এএম
খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হাইকোর্টের বিচারপতি ড. মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে তলব করেছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। গত ১ জুলাই সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই ব্যাখ্যা দিয়েই প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। একই সঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিচারপতি হলেনÑ বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

অভিযোগ ওঠার পর ওই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে ডাকা হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদ- দেন আদালত।

এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন এ বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা অর্থদ- দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর পুরস্কার হিসেবে বিচারক মো. আকতারুজ্জামান ২০১৯ সালে ২১ অক্টোবর দুই বছরের জন্য তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর তিনি স্থায়ী বিচারক হিসেবে শপথ নেন।