ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টাকে কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত থাকার আহ্বান রাজনাথ সিংয়ের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন না চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশটির নেটওয়ার্ক-১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীর সঙ্গে একান্ত আলাপনে এ আহ্বান জানান রাজনাথ সিং। গত শুক্রবার এই গ্রুপের সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রাজনাথ সিং বলেন, ‘নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক চায় না। অধ্যাপক ইউনূসের উচিত, তিনি কী বলছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।’

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভারত যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম। যদিও আমাদের লক্ষ্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।’

ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ইউনূস। শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ড. ইউনূস ভারতবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং সফররত তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের কাছে একটি বিতর্কিত শিল্পকর্ম উপহার দেওয়ার পর তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সফররত পাঁচ সদস্যের তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামের একটি বই উপহার দেন। বইটি গত আগস্টে দেশজুড়ে সংঘটিত শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ চলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের আঁকা গ্রাফিতির সংগ্রহ।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর তথ্য অনুযায়ী, বইটিতে তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার ইঙ্গিত রয়েছে, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, বিশেষ করে আসামকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো নিউজ ১৮-কে জানিয়েছে, ড. ইউনূসের উপহার দেওয়া বইটিতে কথিত ‘যুদ্ধ পরিকল্পনা’ এবং ‘বিজয়ের পর প্রশাসনিক কাঠামো’র বিবরণ রয়েছে, যার লক্ষ্য হলো আসামকে ঢাকার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ‘উৎপাদনশীল ও কার্যকর অঞ্চল’ হিসেবে রূপান্তরিত করা।