ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

গ্রামবাসীর সহায়তায় সুন্দরবনের দুই জলদস্যু আটক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও আযহারুল (৩৬) নামে সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা ইউনিয়নের ২নং গাবুরা খেয়াঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ট্রিগার, পাইপ, ছোট-বড় প্রায় ২২টি স্প্রিং ও বন্দুকের কার্তুজসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃত বিল্লাল কয়রা থানার ইমানপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজী এবং আযহারুল ওরফে খানজাহান দাকোপ থানার জয়নগর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও সোনাডাঙাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিল্লাল ইতিপূর্বে সুন্দরবনে তৎপর দাদাভাই বাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে কোস্টগার্ডের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যায়। জামিনে মুক্তি নিয়ে সে আবারও সুন্দরবনে দস্যুতায় জড়িয়ে পড়ে।

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শুক্রবার রাতে কয়রা থানার কাশির খেয়াঘাট দিয়ে কপোতাক্ষ নদ পার হয়। একপর্যায়ে শ্যামনগর উপজেলার ২নং গাবুরা খেয়াঘাটে পৌঁছালে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ সন্দেহবশত দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অসংলগ্ন কথাবার্তার একপর্যায়ে দু’জনকে তল্লাশি করে স্প্রিং ও ট্রিগারসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, স্থানীয় বনজীবীদের দাবি গত এক বছরে সুন্দরবনে একে একে আলিম, দুলাভাইসহ তিনটি বাহিনী সক্রিয় হয়েছে। বিল্লাল তার সহযোগী আযহারুলকে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালীর জলদস্যু জাহাঙ্গীরের আস্তানায় যাওয়ার পথে আটক হয়। তারা পুরানো দাদাভাই বাহিনী নামে দস্যুতা করতে সুন্দরবনে নামার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে রওনা হয়েছিল।

তবে আটক আযহারুল জানান বিল্লাল তাকে কাজ দেওয়ার নামে ডেকে এনেছিল। বিল্লালের দাবি, কাজের সন্ধানে যশোরে যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে একদিন আগে গাবুরা হয়ে দাতিনাখালী যাচ্ছিলেন। তবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ একসাথে ২০ প্যাকেট সিগারেট থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।