শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম

সেই ফেলানীর ভাইয়ের চাকরি হলো বিজিবিতে 

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম

সেই ফেলানীর ভাইয়ের চাকরি হলো বিজিবিতে 

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। নির্মম সেই হত্যাকা- আজও আলোচিত বিশ্বব্যাপী। যে সীমান্ত পার হতে গিয়ে প্রাণ গেছে ফেলানীর, সেই সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলেন তার ছোট ভাই। নির্মম হত্যার শিকার হওয়ার এক যুগ পরে ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেন (২১) এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) চাকরি পেলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তিনি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের (১৫ বিজিবি) কমান্ডিং কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই অত্র ব্যাটালিয়নে অনুষ্ঠিত বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে (আজ) তিনি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’ ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের কুচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী খাতুন। সীমান্ত হত্যার সেই মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ফেলানীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফেলানীর ছোট ভাইয়ের এই নিয়োগ যেন দীর্ঘদিনের এক চাপা বেদনার মাঝে আশার দীপ্তি এনে দিয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের বিশ্বাস, অকালে মরে যাওয়া বোনের অসমাপ্ত স্বপ্ন একদিন তিনি পূর্ণ করবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!