ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়

এবার উদ্বেগ জানাল বদরুন্নেসার  উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:২৩ পিএম

রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার উদ্বেগ জানিয়েছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় আয়োজিত স্মারকলিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এমন উদ্বেগ জানান তারা। অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীদের উচ্চশিক্ষার পথ সংকোচন করা হবে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিও বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে, যা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগের কোথাও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়নি। 

এর আগে গত সোমবার একই দাবিতে উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিল ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন বা সংকোচনÑ যা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এমন সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে না।  এ ছাড়াও গত বুধবার ঢাকার এ সাতটি কলেজের কয়েকশ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করেন এবং ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।  অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীদের একাংশ। 

গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে। 

ঢাকার সরকারি সাত কলেজ এক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলোÑ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।