বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা 

মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার  উপাদানগুলো যোগ  করতে হবে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার  উপাদানগুলো যোগ  করতে হবে

মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক রূপে গড়ে তোলার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। আমরা চাই এই শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, বাস্তবমুখী এবং আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে।

গতকাল বুধবার দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হককের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। 

১৭৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইতিহাসকে গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাকে আরও আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জ্ঞানের ধারক। মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্যে যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞানচর্চা ও ধর্মবিদ্যা একসঙ্গে ছিল। আমরা চাই এ ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার একটি সমন্বিত রূপ তৈরি করতে। ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে, তবে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে আধুনিক শিক্ষার উপাদানগুলো সংযোজন করতে হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের (এলামনাই) সম্পৃক্ততার প্রশংসা করে বলেন, অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রাখতে। বক্তব্যে তিনি শিক্ষক সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, বিশুদ্ধ পানি ও পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

তিনি ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সমাজে বিভেদ নয়, সহমর্মিতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাই আমাদের পথপ্রদর্শক হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে আমরা উন্নত ও কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে দেশ ও সমাজে অবদান রাখতে পারব। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শিক্ষা অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!