রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আকস্মিক ঝড়ে ডুবে যাওয়া একাধিক নৌকায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। নৌকাডুবির মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে আকস্মিক ঝোড়ো হাওয়ায় রাঙামাটির লংগদু অঞ্চলের বিএফডিসি ঘাট, ভাইবোনছড়া, লংগদু লঞ্চঘাট, গুইলশাখালী বিল ও ভাসান্যাদম এলাকায় একাধিক নৌকা ডুবে যায়।
খবর পেয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় মোট পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেনাবাহিনীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দ্রুত পদক্ষেপে ওই রাতেই দুজনকে জীবিত, এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার এবং পরদিন সকালে আরও দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, একই রাতে নানিয়ারচর উপজেলার মহাজনপাড়ায় আরও একটি নৌকা ডুবে যায়। ছয়জন যাত্রীর মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ডেনিজেন চাকমা ও জিতেশ চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা নৌকাটি উদ্ধার করলেও দুই যুবকের সন্ধান মেলেনি। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ডুবুরি দল স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করতে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ, সাহসিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে দুর্ঘটনার পরপরই কার্যকর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়। সেনাবাহিনী শুধু নিরাপত্তার অঙ্গীকারেই নয়, বরং মানবিক দায়িত্ব পালনে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সচেষ্ট।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন