ঢাকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

আশ্বাসে স্থগিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০১:২৬ এএম

গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আজ শুক্রবার থেকে ‘আমরণ অনশন’ করার কথা থাকলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়েছে।  সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে এ আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক নেতারা আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় তারা আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। পে-কমিশনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছে, তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলেও জানিয়েছে। এদিকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে আমরা (প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা) যদি সেখানে অনশন কর্মসূচি শুরু করি, সেখানে বড় ঝামেলা সৃষ্টি হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সার্বিক বিবেচনায় ঐক্য পরিষদের নেতারা অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সভা শেষে সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবি করছেন, আমরা একমত, আমরা মনে করি তাদের এ দাবি যৌক্তিক। উপদেষ্টা মহোদয় এ দাবির বিষয়ে পে-কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাদের কাছে লিখিত আকারে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষকদের চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা এ বিষয়ে পে-কমিশনের সুপারিশ পেলে তা সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন, তাই আমরা পে-কমিশনের সঙ্গে শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করার একটা ব্যবস্থা করছি।