শিগগিরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
এদিকে টেন্ডার জটিলতায় কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ‘মিড ডে মিল’। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে এ কার্যক্রম চালু হবে। প্রথম ধাপে ১৬৫ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ খাবার সরবরাহ করা হবে। এতে ৩১ লাখ শিশু শিক্ষার্থী মিড ডে মিল পাবে।
এসব বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারব।’ গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
মহাপরিচালক বলেন, ‘সারা দেশে এ মুহূর্তে ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আমরা শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালাটা হাতে পেলেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাব। আশা করি, খুব অল্প সময়েÑ অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাসে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর বাইরেও দীর্ঘদিনের একটা সমস্যা জমে আছে। সেটা হলো ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক এই মুহূর্তে চলতি দায়িত্বে অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এটা নিঃসন্দেহে তাদের জন্য খুব যন্ত্রণাদায়ক।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি এবং সেই লক্ষ্যে কাজও হচ্ছে। খুব শিগগিরই দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে। আর সহকারী শিক্ষক যারা আছেন, তাদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। পে-কমিশনে এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিক্ষকদের যে শূন্য পদগুলো আছে, তা পূরণ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
পদগুলো শূন্য থাকার পরও শিক্ষকেরা পদোন্নতি পাচ্ছেন না একটি মামলার জন্য মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, ‘আশা করছি খুব অল্প সময়ে এ মামলার রায় হয়ে যাবে। এর ফলে এই ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ আমরা পূরণ করতে পারব। একই সঙ্গে তখন সহকারী শিক্ষকের পদগুলোও শূন্য হবে। এরপর ৩২ হাজার পদে আবারও নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে।’
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা তাদের লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্য ট্রেনিংগুলোকে কীভাবে আরও ইনক্লুসিভ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, ‘আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য প্রধান শিক্ষকরা দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন। এটাকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করাসহ অন্যান্য জায়গায়ও কীভাবে তারা আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন, সেই জায়গায় আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে নির্মাণকাজ অথবা মেরামতের কাজের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান শিক্ষক এবং আমাদের শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। দুজনেরই প্রত্যয়ন ছাড়া কোনো বিল প্রদান করা হবে না।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন