সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ১০ হাজার ২১৯টি পদে নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। তবে অনলাইনে আবেদন শুরুর দিনেই ভোগান্তিতে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও আবেদন সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। আবেদন করার সময় এসএসসি ও এইচএসসির তথ্য দেওয়ার পর, ‘ইউর এসএসসি রেজাল্ট ইস লেস দ্যান দি রিকোয়ার্ড!’ লেখা আসছে। এতে আবেদনের প্রথম ধাপই সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও আবেদন সাবমিট করা যাচ্ছে না।
আরিফুল ইসলাম নামে একজন প্রার্থী বলেন, ‘সকাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ বার চেষ্টা করেছি। আমার এসএসসিতে জিপিএ-৫। অথচ আবেদন করতে গেলে ‘এসএসসি রেজাল্ট প্রয়োজনের তুলনায় কম’ বলে লেখা ভেসে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করতে গিয়েও পদে পদে ভোগান্তির শিকার হয়েছি। বারবার এ ধরনের ভোগান্তি কাম্য নয়। দ্রুত কর্তৃপক্ষের উচিত এর সমাধান করা।’
আবেদনে ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন। অশোক পাল নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এসএসসি রেজাল্ট ৪.৭২, তারপরও অ্যাপ্লাই করা যাচ্ছে না কেন? এ কেমন ভোগান্তি!’
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর যোগ্যতার অংশে বলা হয়েছে, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরেই তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে টেলিটক। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।’
জানা যায়, প্রথম ধাপে ছয় বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২১৯টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। প্রথম ধাপের বিভাগগুলো হলোÑ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর। প্রথম ধাপে আবেদন চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ দুই বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে ৪ হাজার ১৬৬টি।

