প্রতারণার অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ভাই গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমানসহ (সোহেল এফ রহমান) ৬ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তারের আদালতে মামলাটি করেন বেক্সিমকো এভিয়েশনের তিন পাইলট।
তারা হলেনÑ ক্যাপ্টেন মো. মাহবুব আলম, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন ও ক্যাপ্টেন জাহিদুর রহমান। তারা আসামিদের বিরুদ্ধে এক কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। অপর আসামিরা হলেনÑ বেক্সিমকো এভিয়েশনের আব্দুল্লাহ খান মজলিশ, তার ভাই ইমরান খান মজলিশ, গুলজার হোসাইন ও সৈয়দ সামিউল ওয়াদুদ ওরফে সামি ওয়াদুদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলার মেইন অভিযোগ হচ্ছে, সালমান এফ রহমানের কোম্পানি এভিয়েশন লিমিটেডে ওনারা চাকরি নিয়েছিলেন পাইলট হিসেবে। সালমান এফ রহমান দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতেন, আসতেন হেলিকপ্টারে করে। কোম্পানিতে থাকাকালে ওনারা (পাইলটরা) বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন ঠিকই। ফেব্রুয়ারি মাসে ওনাদেরকে টার্মিনেট করা হয় পাওনা বাকি রেখে। কোটি টাকার ওপরে তাদের পাওনা। পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখি, এই কোম্পানিটা ছিল আসলে একটা ফেক কোম্পানি। তারা আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস নিয়েছে একটা ফেক কোম্পানি গঠন করে এবং আরও নিশ্চয়ই শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছে। তারা আমাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।’
২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে জানান আইনজীবী তরিকুল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। তবে তার ছেলে, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে।

