ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ গ্রেপ্তার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার তার মালিবাগ বাসা থেকে ডিবির একটি টিম তাকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘শওকত মাহমুদকে তার মালিবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।’

শওকত মাহমুদের ছোট ছেলে সুলতান মাহমুদ সিয়াম সাংবাদিকদের জানান, ‘গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসে। আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেছে। এরপর বাবাকে নিয়ে গেছে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আমরা যাচাই করে দেখছি। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘোরাঘুরির কারণ জানতে চাইলে এনায়েত কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তখন পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা করে। এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান এবং ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ২৫ এপ্রিল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’র আত্মপ্রকাশ ঘটে, যার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এর আগে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ শওকত মাহমুদকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

সেই সময় বনানীতে জাতীয় ইনসাফ কমিটি (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নামে এক অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়। তখন সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার এবং সদস্যসচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ বক্তব্য দিয়েছিলেন।