রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নিমাই বিলে কৃষিজমিতে জোরপূর্বক অবৈধভাবে পুকুর খনন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকের ফসলি জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পুকুর খননের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে এলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন, এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘কৃষিজমি রক্ষা করো, খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করো’ এই স্লোগানে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর গণকপাড়ার অংশু বুক ক্যাফেতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলনের বাগমারা আহ্বায়ক ও মোহনপুর কলেজের প্রভাষক মো. আমজাদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে রাজশাহী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (সি আর কেস নং-৩৪৭/২০২৫, বাগমারা) দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হলে ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট থেকে পুকুর খননে স্থগিতাদেশসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবুও ঈদুল আজহার ছুটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সাতটি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে জোরপূর্বক খনন চলছে বলে দাবি করেন বক্তারা। এতে কৃষকদের জমি ধ্বংস হয়ে আবাদ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ভূমিদস্যু ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী কয়েকজন এই কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের আতিকুর রহমান, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, ঈশিতা ইয়াসমিন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :