ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ফারিন খান

রঙের মানুষ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিন খান। যিনি তার অনিন্দ্য সুন্দর অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। তার অনবদ্য, নিখুঁত, চমৎকার সর্বোপরি প্রশংসার যোগ্যতা রাখার মতো অভিনয় একের পর এক নাটকে দর্শককে মুগ্ধ করেই চলেছে। তার প্রকাশিত পুরোনো নাটক ইউটিউবে দেখে যেমন দর্শক মুগ্ধ হন ঠিক তেমনি প্রচারে আসা নতুন নাটকেও দর্শক তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন। অথচ আজকের এই অবস্থানে আসার পথচলাটা সহজ ছিল না, খুব কঠিন ছিল। প্রায় দশ বছরের মিডিয়ায় সংগ্রামী জীবন তার। তবে ফারিনের প্রবল আত্মবিশ^াস ছিল একদিন তিনি অভিনয় দিয়েই দর্শকের মন জয় করে নেবেন। পেরেছেনও অনেকটাই। ‘প্রিয় ঠিকানা’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘লাভ বাজ’, ‘প্রথম প্রেমের গল্প’, ‘সুইচ’ এই সবগুলো নাটকে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মাঝে মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়েছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন দর্শকের প্রিয় একজন অভিনেত্রী। ফারিন খান চাইলেই একের পর এক নাটকে অভিনয় করতে পারতেন। কিন্তু তিনি শুরু থেকেই গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সচেতন ছিলেন। তৌসিফ মাহবুব, সোহেল ম-ল, শাশ^ত, পার্থ, ফারহান-এর সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রত্যেকের সঙ্গেই প্রতিটি নাটকে নিখুঁত অভিনয় করে অভিনয়ে তিনি তার স্বাতন্ত্র্যতা বুঝিয়েছেন অনায়াসে। কিন্তু এই ফারিন একটুও সন্তুষ্ট নন নিজের অভিনয়ে। অভিনয়ে তাকে আরও বহুদূর যেতে হবে। যে কারণে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন গল্পের খোঁজে রয়েছেন  তিনি। যেখানে নিজের চরিত্রটি আরও চ্যালেঞ্জিং, নিজেকে আরও ভেঙে উপস্থাপনের প্রবল চেষ্টা তার। দৃষ্টান্ত হিসেবে সদ্য প্রকাশ পাওয়া ফারিন খান অভিনীত নতুন নাটক ‘লাব ইউ টিচার’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মো. তৌফিকুল ইসলাম। ডিওপি হিসেবে ছিলেন বিশ^জিৎ দত্ত। এই নাটকেও ফারিনের প্রাণোচ্ছল অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করছে। এরই মধ্যে তিন দিনে নাটকটি ইউটিউবে ১৮ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। নাটকে ফারিনের যাত্রা শুরু হয়েছিল অমি’র ‘ফিমেল থ্রি’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘ধ্যাৎতিরিকি’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘আয়না’, ‘প্ল্যানার’, ‘ফেসবুক’ নামের তিনটি সিনেমাও। আসিফ আকবরের ‘প্রেমের নদী’ ও শেখ সাদীর ‘তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে’ দুটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়ে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি। বিশেষত শেখ সাদীর গানের মিউজিক ভিডিওতে ফারিনের অনবদ্য পারফর্মেন্স দারুণ সাড়া ফেলে দর্শকের মাঝে। গানটি এখন পর্যন্ত দুই কোটিরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছে। ফারিন রাজধানীর বাংলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ফাইনাল বর্ষে পড়াশোনা করছেন। মিডিয়াতে কাজ করা প্রসঙ্গে ফারিন খান বলেন, ‘অভিনয় অঙ্গনের সবচেয়ে ছোট্ট মানুষটি আমি। আমি মনে করি অভিনয়ে এখনো হাতেখড়িই চলছে। নিজের অভিনয় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। আরও বহুদূর যেতে হবে আমাকে। অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা পাবার জন্যই আমি অভিনয় করি। আরও ভালো ভালো গল্পের নাটকে এবং সিনেমাতে অভিনয় করতে চাই।’ ২০০০ সালের ১২ অক্টোবর জন্ম তানিয়া ফারিন মিশুর। তার মায়ের গর্ভে যখন তার বয়স মাত্র সাত মাস তখন তার বাবা রবিউল ইসলাম এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান। মা নীলা ইসলামই তাকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। ফারিনের সবচেয়ে প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এক জীবনে একবারই মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল প্রযোজক আব্দুল আজিজের সহযোগিতায়। তবে আজ পর্যন্ত তাকে দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি ফারিনের।